কানাডায় তরুণদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ আত্মহত্যা

মানসিক সমস্যা ও এর প্রতিকারবিষয়ক কর্মশালা
মানসিক সমস্যা ও এর প্রতিকারবিষয়ক কর্মশালা

কানাডায় তরুণদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ আত্মহত্যা। বিশেষ করে পনেরো থেকে চৌত্রিশ বছর বয়সীদের মধ্যে এ হার সবচেয়ে বেশি। গত বুধবার (৬ মার্চ) কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড নলেজ আয়োজিত কর্মশালায় এ কথা বলা হয়। টরন্টোর ডেনফোর্থের এক্সেস পয়েন্টে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মানসিক সমস্যা এবং এর প্রতিকারবিষয়ক এ কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার ২৭ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালাটি পরিচালনা করেন কানাডিয়ান মেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের পিয়ার ফ্যাসিলিটেটর মারওয়া আহমেদ ও জস আবদুল্লাহ। আয়োজক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ কর্মশালায় বলা হয়, কানাডায় প্রতিবছর আত্মহত্যাজনিত কারণে মারা যায় গড়ে সাড়ে চার হাজার লোক। আর দুর্ঘটনাজনিত কারণ ছাড়া তরুণদের সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় আত্মহত্যাজনিত কারণে।

মানসিক সমস্যা ও এর প্রতিকারবিষয়ক কর্মশালা
মানসিক সমস্যা ও এর প্রতিকারবিষয়ক কর্মশালা

স্ট্যাটিসটিকস কানাডার উদ্ধৃতি দিয়ে কর্মশালায় বলা হয়, বিবাহিতদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা কম। অবিবাহিত ও ডিভোর্সিদের মধ্যে এ হার ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। মানসিক সমস্যাই মূলত আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের মানসিক সমস্যার লক্ষণ দেখা দিলে বিভিন্ন স্টিগমার কারণে বিষয়টি প্রকাশ করতে চায় না। যার ফলে সমস্যা অনেক সময় ব্যাপক আকার ধারণ করে। মানসিক সমস্যাজনিত কারণে কানাডায় বাঙালি কমিউনিটিতে বেশ কয়েকটি আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে।

আত্মহত্যা ও মানসিক সমস্যা প্রতিরোধে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয় কর্মশালায়। আত্মহত্যার লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা অর্জন, যেমন কারও আচরণে পরিবর্তন লক্ষ করা, আশাহত হওয়া, মরে যাওয়ার কথা বলা, নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করা, একাকিত্ব থাকা প্রভৃতি। ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করা, বিতর্কে লিপ্ত না হওয়া, আন্তরিক হওয়া, আশা দেওয়া, বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবনের চেষ্টা করা, প্রয়োজনে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া, অন্যের সহায়তা নেওয়া, ক্রাইসিস নম্বরে (১৮৩৩-৪৫৬-৪৫৬৬ অথবা ১৮৬৬-৫৩১-২৬০০) যেকোনো সময় কল করে সহায়তা নেওয়া।


স্ট্রোক প্রতিরোধবিষয়ক কর্মশালা ১৬ মার্চ শনিবার

স্ট্রোক প্রতিরোধবিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছে কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড নলেজ। এটি অনুষ্ঠিত হবে ১৬ মার্চ শনিবার বেলা আড়াইটায় টরন্টোর ৩০৭৯ ডেনফোর্থের এক্সেস পয়েন্টে। কর্মশালায় স্ট্রোকের ঝুঁকি ও প্রতিরোধবিষয়ক তথ্য দেওয়া হবে।

সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন মানুষের বয়স যত বাড়তে থাকে, তার স্ট্রোকের ঝুঁকি ততই বৃদ্ধি পায়। এটা অনেকটা মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়া। স্ট্যাটিসটিকস কানাডার মতে, প্রতিবছর এখানে স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬২ হাজার। কানাডায় ৬ শতাংশ মৃত্যু হয় স্ট্রোকের কারণে। মূলত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ধূমপান ও ওজন বেড়ে যাওয়া ব্যক্তিরা স্ট্রোকের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।

মানসিক সমস্যা ও এর প্রতিকারবিষয়ক কর্মশালা
মানসিক সমস্যা ও এর প্রতিকারবিষয়ক কর্মশালা

বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে কানাডিয়ান সেন্টার স্ট্রোক প্রতিরোধবিষয়ক এই কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, কর্মশালায় দূরদূরান্ত থেকে আগত অংশগ্রহণকারী সর্বোচ্চ ২০ জনকে টিটিসি টোকেন দেওয়া হবে। আসন সীমাবদ্ধতার কারণে আগ্রহী অংশগ্রহণকারীদের নিম্নোক্ত ফোন নম্বরে অথবা ই–মেইলে <[email protected]> ১৫ মার্চের মধ্যে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যে নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে, তা হচ্ছে ৬৪৭–৯৮১–৭৮৫৩।

উল্লেখ্য, এ কর্মশালাগুলো আয়োজনে সহায়তা করছেন মর্টগেজ ব্রোকার আসিফ চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি

যোগাযোগ
মোহিত ইসলাম, ফোন: ৬৪৭.৯৮১. ৭৮৫৩

যোগাযোগ

মোহিত ইসলাম
হেলথ কো-অর্ডিনেটর
ফোন: ৬৪৭.৯৮১. ৭৮৫৩