বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবন গড়ার আহ্বান

রচনা, চিত্রাঙ্কন, ছড়া-কবিতা ও গল্প বলা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুশিল্পীরা
রচনা, চিত্রাঙ্কন, ছড়া-কবিতা ও গল্প বলা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুশিল্পীরা

উৎসাহ–উদ্দীপনা ও আনন্দমুখর পরিবেশে সুইডেনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯ উদ্‌যাপিত হয়েছে। দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ১৭ মার্চ রোববার দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের কথা উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় দেশপ্রেম ও শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধের দৃষ্টান্ত অনুসরণের জন্য এবং তাঁর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য তিনি সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি শিশু–কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবন গড়ার ও পরবর্তী সময়ে দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

স্টকহোমে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত বর্ণিল এই অনুষ্ঠানে স্টকহোম ও এর আশপাশ এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোর ও প্রবাসীসহ মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সপরিবারে অংশ নেন। দিবসের মূল অনুষ্ঠানসূচিতে ছিল পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বঙ্গবন্ধুর শৈশব, সংগ্রামী রাজনৈতিক ও কর্মজীবনের ওপর আলোচনা, শিশু–কিশোরদের অংশগ্রহণে রচনা, চিত্রাঙ্কন, ছড়া-কবিতা ও গল্প বলা প্রতিযোগিতা, শিশুশিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী ও মধ্যাহ্নভোজ।

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. নাজমুল ইসলাম
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. নাজমুল ইসলাম

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে দূতাবাসের অভ্যর্থনাকক্ষে শিশু–কিশোরদের জন্য বয়সভিত্তিক এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনেক শিশু–কিশোর তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এরপর দিবসটি নিয়ে আলোচনায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধসহ তাঁর শৈশব, পারিবারিক জীবন এবং স্কুল জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ও দিক তুলে ধরেন।

শেষ পর্বে সাংস্কৃতিক আয়োজনে শিশুদের কবিতা আবৃত্তি, গল্প বলা এবং গান পরিবেশন উপস্থিত সবাইকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্থান অধিকারী শিশু–কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিশু-কিশোরকে দেওয়া হয় শুভেচ্ছা উপহার। মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। বিজ্ঞপ্তি