রূপকল্প বাস্তবায়নে শিশুদেরই ভূমিকা পালন করতে হবে

জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তারিক আহসান
জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তারিক আহসান

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথ ধরে রূপকল্প ২০৪১-এর আওতায় বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করার জন্য বর্তমানে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আজকের শিশুদেরই আগামী ২২ বছর পরের রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শই হবে শিশুদের পথ চলার দিশারি।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আলোচনা সভায় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটা হয়
অনুষ্ঠানে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটা হয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মর্যাদার সঙ্গে ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনে পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ১৭ মার্চ রোববার চ্যান্সারিতে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান

সভায় হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং বাংলাদেশিসহ নিহত সব মানুষের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও মানুষের প্রতি তাঁর স্নেহ-মমতার কথা স্মরণ করে বলেন, শিশুকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে সাধারণ মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও অনুকম্পার মতো বিশেষ গুণাবলি পরিলক্ষিত হয়। মানুষের প্রতি এই ভালোবাসাই বঙ্গবন্ধুর পরিণত জীবনে তাঁর রাজনৈতিক আদর্শকে রূপায়িত করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শুধু একটি স্বাধীন দেশই উপহার দেননি, তিনি আমাদের একটি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নও দিয়েছিলেন, যে স্বপ্নের দেশ হবে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত; যে সমাজ হবে সমতা, সামাজিক ন্যায়বিচার আর মানবিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করছে বাংলাদেশি এক শিশু
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করছে বাংলাদেশি এক শিশু

জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। তারিক আহসান বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকেরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শিশুরাও পুষ্পস্তবক করে। এরপর হাইকমিশনার শিশুসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন। পরে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি-অগ্রগতি এবং বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়া হয়।

রচনা লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার ও সনদ বিতরণ
রচনা লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার ও সনদ বিতরণ

জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশি শিশুরা হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও ছয় দফা’ বিষয়ে রচনা লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ ছাড়া শিশুরা বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত কবিতা ও ছড়া আবৃত্তি এবং দেশাত্মবোধক নৃত্য পরিবেশন করে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে হাইকমিশনার ও হাইকমিশনার পত্নী পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন।

সব শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি