স্ট্রোক প্রতিরোধে দরকার ব্যাপক সচেতনতা

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা

স্ট্রোক প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। কানাডার টরন্টোয় কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড নলেজ আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলা হয়। ১৬ মার্চ শনিবার টরন্টোর ডেনফোর্থের এক্সেস পয়েন্টে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৪২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সঞ্চালক ছিলেন বাংলাদেশি চিকিৎসক ও কানাডার হার্ট অ্যান্ড স্ট্রোক ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক এহসান চৌধুরী। তিনি তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, মূলত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ধূমপান ও ওজন বেড়ে যাওয়া ব্যক্তিরা স্ট্রোকের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। স্ট্রোক প্রতিরোধে প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তোলা।

সেন্টারের হেলথ কো-অর্ডিনেটর ও বাংলাদেশি নিউরোলজিস্ট মো. মোহিতুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। চর্বি ও শর্করাযুক্ত খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি স্ট্রোক প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা

হার্ট অ্যান্ড স্ট্রোক ফাউন্ডেশন কানাডার তথ্য অনুযায়ী এখানে পুরুষদের চেয়ে নারীরাই স্ট্রোকে আক্রান্ত হন বেশি, যার হার ৫৯ শতাংশ নারী ও ৪১ শতাংশ পুরুষ। গড়ে প্রতিবছর স্ট্রোকে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬২ হাজার। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ওষুধ সেবন, সুষম খাবার খাওয়ার মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব বলে মনে করে কানাডার হার্ট অ্যান্ড স্ট্রোক ফাউন্ডেশন।

উল্লেখ্য, জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কানাডিয়ান সেন্টার এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সহায়তা করেন টরন্টোর মর্টগেজ ব্রোকার আসিফ চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি