কানাডার অটোয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশনে পালিত হয়েছে গণহত্যা দিবস। গতকাল ২৫ মার্চ দিবসটি দিবসটি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ২৫ মার্চের কালরাতে গণহত্যার শিকার সব শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান হাইকমিশনের কাউন্সেলর সাখাওয়াত হোসেন ও শাকিল মাহমুদ।
পরে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের নৃশংসতম গণহত্যার ওপর একটি মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন অটোয়ায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কানাডার কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিপা ব্যানার্জি। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সিকদার মতিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুল হক, প্রকৌশলী আবুল বাশার, শাহ বাহাউদ্দীন শিশির ও অধ্যাপক ওমর সেলিম শের।
বক্তারা বঙ্গবন্ধুর কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে জাতির ইতিহাসের এই কালো অধ্যায় সম্পর্কে তাঁদের আবেগনিঃসৃত অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তাঁরা ২৫ মার্চের কালরাতের গণহত্যা ও স্বাধীনতার ঘোষণার সঠিক ইতিহাস কানাডায় বসবাসরত নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার অনুরোধ করেন। এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার আহ্বানও জানান তাঁরা।
এ ছাড়া হাইকমিশনের পক্ষ থেকে দিবসের তাৎপর্য ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও কার্যক্রম গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন শাকিল মাহমুদ এবং কাউন্সেলর ফারহানা আহমেদ চৌধুরী।
শেষে বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও দেশের সার্বিক মঙ্গল কামনায় দোয়া পাঠ করেন হাইকমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফারহানা আহমেদ চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি