সমুদ্র অর্থনীতিতে ডেনিশ বিনিয়োগের আহ্বান

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয় (ছবিতে বাঁয়ে)। বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত (ডানে)
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয় (ছবিতে বাঁয়ে)। বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত (ডানে)

ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে উৎসাহ–উদ্দীপনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৮তম বার্ষিকী উদ্‌যাপিত হয়েছে। সকালে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী আর তাঁদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত ও দূতাবাস প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি সূচনা করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।

সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাস কোপেনহেগেনের হেলেরুপ পার্ক ক্লাবে দিনটি উপলক্ষে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আগত অতিথিদের মধ্যে দেশটির পররাষ্ট্র ও অন্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পঞ্চাশের বেশি রাষ্ট্রদূত, চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, কূটনীতিক কোরের সদস্য, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দুই শর বেশি আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। রাষ্ট্রদূত মুহিত তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তাঁর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যেসব লাখো শহীদ দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১-এর লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অংশীদার হতে ডেনিশ উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ডেনমার্কের বিশেষায়িত জ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের সবুজ প্রযুক্তি ও সমুদ্র অর্থনীতি খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কয়েকটি দৃশ্য
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কয়েকটি দৃশ্য

বৈধ ও নিরাপদ অভিবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে ডেনমার্কে কোনো অবৈধ বাংলাদেশি নেই। রাষ্ট্রদূত ১০ লাখের বেশি বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনাকে ভয়ানক মানবিক বিপর্যয় আখ্যা দিয়ে একটি টেকসই সমাধানের মাধ্যমে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে ইইউর সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সুইডেন আর ডেনমার্কপ্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। আগত অতিথিদের এই পরিবেশনা মুগ্ধ করে। তাঁরা প্রাণভরে উপভোগ করেন বাংলাদেশি নাচের মূর্ছনা। সান্ধ্যভোজে দূতাবাসের আয়োজনে মুখরোচক দেশি খাবার পরিবেশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি