ত্রিপোলিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য সংবর্ধনা

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে ২৬ মার্চ দূতাবাস নানা কর্মসূচির আয়োজন করে।

বাংলাদেশ দূতাবাস এ উপলক্ষে ত্রিপোলির র‍্যাডিসন ব্লু হোটেলে সন্ধ্যায় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও কূটনীতিকদের সম্মানে এক সংবর্ধনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লিবিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. এমহামেদ মোহাম্মেদ বেন ওমর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী লুতফি আল-আমিন আল-মাগরেবি এবং পররাষ্ট্রসচিব ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। লিবিয়ার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, কূটনীতিক ও ত্রিপোলিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকেরা সংবর্ধনায় অংশগ্রহণ করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন এমহামেদ মোহাম্মেদ বেন ওমর
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন এমহামেদ মোহাম্মেদ বেন ওমর

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সেখ সেকেন্দার আলী স্বাগত বক্তব্যে অতিথিদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি লিবিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দেশটিতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ায় লিবিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. এমহমেদ মোহাম্মেদ বেন ওমর বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিবসে তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানান। তিনি বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশি কর্মীরা লিবিয়ার জনগণের পাশে অবস্থান করায় ধন্যবাদ জানান। লিবিয়ায় পুনর্গঠন প্রকল্পে বাংলাদেশি নাগরিকেরা অতীতের মতো ভবিষ্যতেও অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন সেখ সেকেন্দার আলী
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন সেখ সেকেন্দার আলী

সংবর্ধনাস্থলে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার জন্য একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে জামদানি, নকশিকাঁথা, পালকি, পাটের তৈরি পণ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন রপ্তানিযোগ্য পণ্য উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশি ফুড কর্নার নামে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলির প্রদর্শনীও করা হয়। যেখানে প্রবাসীদের হাতে তৈরি করা বিভিন্ন প্রকার পিঠাসামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। সর্বোপরি পুরো সংবর্ধনাস্থলটি প্রবাসে এক টুকরা বাংলাদেশ হিসেবে আগত অতিথিদের কাছে উপস্থাপিত হয়।

এর আগে সকালে রাষ্ট্রদূত সেখ সেকেন্দার আলী ত্রিপোলিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় শুদ্ধ সুরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এ পর্বে ত্রিপোলির বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয়
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয়

পরে রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে দূতাবাসে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রবাসী নাগরিকেরা পরিবার-পরিজনসহ উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনাস্থলে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রদর্শনী
সংবর্ধনাস্থলে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রদর্শনী