নতুন বছরের বসন্তের আগমন উপলক্ষে চীনের থ্রি গরজেস ইউনিভার্সিটিতে অষ্টমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে পিচ ব্লসম কালচার উৎসব। পিচ ফুলের নাম অনুসারে এই উৎসব উদ্যাপন করে চীনারা। এই উৎসবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬০টি দেশের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, ইরান, ইরাক, জর্ডান, নেপাল, ভুটান, মরক্কো, জাম্বিয়া, মাদাগাস্কার, ঘানা প্রভৃতি। এসব দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উদ্যাপন করেন পিচ ব্লসম উৎসব। সম্প্রতি এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্বে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতিকে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের নাচ দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ ফ্যাশন শোতেও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। উৎসবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দেখে অন্য দেশের শিক্ষার্থীরাও মুগ্ধ হয়েছেন।
এ ছাড়া উৎসবে প্রতিটি দেশের জন্য একটি করে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা প্রতিটি স্টলে নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি উপস্থাপন করেন। কয়েক বছর ধরে এই উৎসবে বাঙালি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশকে সম্মানের সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন।
চীনের স্থানীয় কিছু জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও এতে পরিবেশন করা হয়। এর মধ্যে চীনের প্রথাগতভাবে ড্রাগন নাচের পরিবেশনা উল্লেখযোগ্য। এই নাচ সমৃদ্ধি আনে বলে চীনাদের বিশ্বাস। চীনের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময় হয় এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। প্রতিটি দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আদান–প্রদানে এ রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে থ্রি গরজেস ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানানো হয়। অনুষ্ঠানটি চীনের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া সরাসরি সম্প্রচার করে।
...
মোস্তাক আহাম্মেদ: মেডিকেল শিক্ষার্থী, থ্রি গরজেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইচাং, হুবেই, চীন। ই–মেইল: <[email protected]>
