রিয়াদে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

স্বাধীনতা দিবসের কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করা হয়
স্বাধীনতা দিবসের কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করা হয়

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অভিবাসীদের জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও সংবর্ধনা। দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে রিয়াদের হলিডে ইন হোটেলে গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে রিয়াদ, দাম্মাম, বুরাইদা, জুবাইল, আল-খারজসহ বিভিন্ন শহরের প্রায় পাঁচ শ অভিবাসী বাংলাদেশি যোগ দেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন গোলাম মসীহ
বক্তব্য দিচ্ছেন গোলাম মসীহ

দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ও তাঁর সহধর্মিণী সৈয়দা গুলে আরজুসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা স্বাধীনতা দিবসের কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করেন।

এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তাই এর মর্যাদা সমুন্নত রাখা সব বাংলাদেশির দায়িত্ব। তিনি এ সময় গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তিনি স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের। যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবে বসবাসরত ২১ লাখ প্রবাসী বাংলাদেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত হয়েছে ও বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী দিনে সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা, বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের সৌদি আরবের আইনকানুন মেনে সৎ ও আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। যাতে প্রবাসে বাংলাদেশিদের সুনাম বৃদ্ধি পায়। তিনি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার জন্য সব অভিবাসীকে আহ্বান জানান।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন ওয়াহিদ উদ্দিন, ইমরান, শাহানা চৌধুরী পপি, জামশেদ রানা, তানজিলা আক্তার নিমা, অমল দাস, বাবুল চৌধুরী, শেমুষী ও আদৃত। স্বাধীনতার কবিতা আবৃত্তি করেন রুচিরা সুলতানা ও ফখরুল ইসলাম।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

অনুষ্ঠানে আসা বাংলাদেশি অভিবাসীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং এ রকম অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রদূতকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। এ উপলক্ষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি