সিউলে ইপিএস বাংলা আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন

খেলার দৃশ্য
খেলার দৃশ্য

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইপিএস বাংলা আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট। গত রোববার (৭ এপ্রিল) গুরো নুরি ব্যাডমিন্টন স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। দেশটিতে বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের সংগঠন ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।

কয়েক বছর ধরে শুধু বাংলাদেশিদের নিয়ে এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেও এ বছর প্রথমবারের মতো অন্য দেশের খেলোয়াড়েরাও অংশগ্রহণ করেন। কোরিয়ার সঙ্গে ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) চুক্তিভিত্তিক ১৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার মোট ৫৬ জন খেলোয়াড় দ্বৈত ও একক পর্বে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। সব দেশের খেলোয়াড়েরাই প্রতিযোগিতামূলক, দৃষ্টিনন্দন ও উপভোগ্য খেলা উপহার দেন।

প্রাইজ মানি বিজয়ী খেলোয়াড়েরা
প্রাইজ মানি বিজয়ী খেলোয়াড়েরা

প্রতিযোগিতার এককের ফাইনালে বাংলাদেশের দেলোয়ার টাইটানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ইউনি নিলা। দ্বৈতের ফাইনালে ইন্দোনেশিয়ার হারতানতো ও ইউনি নিলার দল একই দেশের ইকো ও আদনাং দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।

টুর্নামেন্টে দাপটের সঙ্গে ভালো খেলার জন্য জিএমই রেমিট্যান্স সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ইউনি নিলা। ইপিএস বাংলা কমিউনিটির অফিশিয়াল স্পনসর জিএমই রেমিট্যান্সের পক্ষ থেকে তাঁর হাতে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তুলে দেন জিএমইর সহকারী মার্কেটিং ম্যানেজার সজীব দাস।

পুরস্কার বিতরণী
পুরস্কার বিতরণী

চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপদের জন্য পুরস্কার হিসেবে ছিল নগদ অর্থ, আকর্ষণীয় ট্রফি ও মেডেল। এ ছাড়া প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য ছিল বিভিন্ন উপহার সামগ্রী।

ফাইনাল খেলায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিউল গ্লোবাল সেন্টারের প্রধান কিম জং হোয়া। তিনি তাঁর বক্তব্যে আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কোরিয়া ফরেন ওয়ার্কার্স সাপোর্ট সেন্টারের প্রধান সোন জুং হা এবং স্পনসরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুমাইয়া টেকের সিইও রিপা আর জাহান।

পুরস্কার বিতরণী
পুরস্কার বিতরণী

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক বলেন, এ বছর অল্প কয়েকটি দেশ অংশগ্রহণ করলেও আগামী বছর আমাদের লক্ষ্য থাকবে আরও বেশিসংখ্যক দেশের অংশগ্রহণে বড় পরিসরে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার। তিনি স্পনসরকারী প্রতিষ্ঠান, খেলোয়াড় ও দর্শকসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন টুর্নামেন্টটি সফলভাবে শেষ করার জন্য।

টুর্নামেন্টে অফিশিয়াল স্পনসর ছিল জিএমই রেমিট্যান্স। অন্য স্পনসর হিসেবে ছিল সিউল সিটি, সিউল গ্লোবাল সেন্টার, সুমাইয়া টেক, খান মোবাইল, এস এম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম ও বিডি হাউস। সহযোগিতায় ছিল এইচআরডি কোরিয়া ও কোরিয়া ফরেন ওয়ার্কার্স সাপোর্ট সেন্টার।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেক দর্শক মাঠে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ দেশকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি খেলা উপভোগ করেন।

অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে অতিথি এবং আয়োজক সংগঠন ও স্পনসর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা
অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে অতিথি এবং আয়োজক সংগঠন ও স্পনসর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা