পাকিস্তানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. নাজমুল হুদা
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. নাজমুল হুদা

মুজিবনগর সরকার শুধু যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যকে রক্ষা করেছে তা নয়, সেই সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতার আইনগত ও নৈতিক বৈধতাও নিশ্চিত করেছে। পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের নিরীহ জনগণের ওপর যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে, মুজিবনগর সরকার তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত ও বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি তাদের সমর্থন আদায়ে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত মুজিবনগর সরকার আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকে বিচ্ছিন্নতাবাদের সম্ভাব্য অভিযোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন দেশটিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নাজমুল হুদা।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে চ্যান্সারিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

উপস্থিতি
উপস্থিতি

মো. নাজমুল হুদা তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতুলনীয় নেতৃত্ব এবং তাঁর সেই সব সুযোগ্য সতীর্থ যাঁরা ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার দুরূহ দায়িত্ব পালনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান প্রমুখ নেতা যে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেন, তার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, বাঙালি জাতি এই সাহসী ও বিচক্ষণ সন্তানদের চিরকাল কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের সব পর্যায়ের নেতারা বাঙালি জাতির জন্য চিরকাল দেশপ্রেম, সাহস, প্রজ্ঞা এবং গণতান্ত্রিক চেতনার উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।

সভার শুরুতে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা শেষে মুজিবনগর ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

হাইকমিশনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। বিজ্ঞপ্তি