বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারির মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে এ সরকার শপথ নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে সেদিন থেকে ওই স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। আর মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়।
মরিশাসের পোর্ট লুইসে মুজিবনগর দিবসের আলোচনায় এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ। তিনি উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের সঠিক তথ্য দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই দিবসগুলো পালন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এ তথ্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা এবং আপনাদের মাধ্যমে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।’
হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ এবং নির্যাতিত দুই লাখ মা-বোনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রবাসীদের সামনে তুলে ধরতে মরিশাসের বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করেছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা ও স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ ঐতিহাসিক এ দিবসের প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস তুলে বক্তব্য দেন। সূচনা বক্তব্যে দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান দিবসের গুরুত্ব অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরাও মতপ্রকাশ করেন, ‘এ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী আমাদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে এবং সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও জানবে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস।’ অনুষ্ঠানে মরিশাসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও প্রবাসী কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি