ডেনমার্কে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

ডেনমার্কে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন
ডেনমার্কে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

১৯৭১ সালে স্বাধীনতাসংগ্রামের সেই কঠিন মুহূর্তে মুজিবনগর সরকার বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের ন্যায়সংগত অধিকারের পক্ষে বহির্বিশ্বে জনমত গঠন ও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন আদায়ে মূল ভূমিকা পালন করে। ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে মুজিবনগর সরকারের তাৎপর্য উল্লেখ করে এ কথা বলেন, দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত।

কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করেছে। ১৭ এপ্রিল (বুধবার) সকালে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন। বিকেলে দূতাবাস মিলনায়তনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কোপেনহেগেনসহ পার্শ্ববর্তী শহরে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার বাংলাদেশিরা অংশ নেন।

রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর দীর্ঘ ২৩ বছরের অক্লান্ত সংগ্রাম ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ নারীর অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।’

রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবে রূপ দিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সূচনা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনায় রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত ছাড়াও অন্য বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করেন। বিজ্ঞপ্তি