টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে বর্ণিল আয়োজন

অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করছেন রাষ্ট্রদূত
অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করছেন রাষ্ট্রদূত

আবহমানকাল থেকে নতুন উদ্দীপনা নিয়ে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ আসে বাঙালির জীবনে। বাংলা সংস্কৃতির অনন্য অনুষঙ্গ বাংলা নববর্ষ মঙ্গল ও আনন্দের বারতা ছড়িয়ে দেয় সমগ্র বাংলাদেশসহ প্রবাসে অবস্থানরত সব বাংলাদেশি, এমনকি বিদেশিদের মধ্যেও। জাপানও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস বিদেশি বন্ধুদের সম্মানে নববর্ষ উদ্‌যাপন ও মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করে। বাংলাদেশ হাউসে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করছেন রাষ্ট্রদূত
অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করছেন রাষ্ট্রদূত

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেশটির কয়েকজন সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়য়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সুধীজন। অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি তাঁদের উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের নারী অতিথিদের চুরি ও টিপ পরিয়ে দেন রাষ্ট্রদূত।

আগত অতিথিদের একাংশ
আগত অতিথিদের একাংশ

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনকে বাংলার ঐতিহ্যবাহী বর্ণিল সাজে সাজিয়ে তোলা হয়। সুদৃশ্য আলপনার রঙে রাঙানো হয় অতিথিদের আগমন ও অভ্যর্থনা স্থান। দূতাবাসের দেয়ালে দেয়ালে শোভা পায় চিরায়ত বাংলায় নববর্ষ উদ্‌যাপনের অনন্য উপাদান নানান রঙের মুখোশ। বাঙালি সংস্কৃতিতে মুগ্ধ কয়েকজন নারী রাষ্ট্রদূত পরম আনন্দে শাড়ি পরায় অংশ নেন। এ ছাড়া মেহেদি রঙ্গে বিদেশি বন্ধুদের হাত রঙিন করার ব্যবস্থা ছিল। অনেকে তাঁদের হাতে বাংলাদেশি মেহেদি দিয়ে আলপনা করিয়েছেন।

অতিথিদের হাতে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে
অতিথিদের হাতে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে

আগত অতিথিরা বাংলাদেশের আতিথেয়তা ও আকর্ষণীয় এই সাজে তাঁদের মুগ্ধতা ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাঁদের চোখে ছিল আনন্দ আর তৃপ্তির ঝিলিক। বিদেশি বন্ধুদের বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী ও বাঙালিয়ানা খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি