টরন্টোয় বাংলাদেশি বেসরকারি আট সংগঠনের জোট

আলোচনা অনুষ্ঠান
আলোচনা অনুষ্ঠান

কানাডার টরন্টোয় বাংলাদেশি কানাডীয়দের সহায়তাকারী বেসরকারি আটটি সংগঠনের একতাবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশি-কানাডিয়ান কমিউনিটি (এবিসি) নামে একটি নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। শনিবার (৪ মে) টরন্টোর ডেনফোর্থ অ্যাভিনিউর এক্সেস পয়েন্টে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগঠনগুলো জোটবদ্ধভাবে কাজ করার অভিমত প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের ২০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

কানাডিয়ান সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন বেসরকারি সরকারি সংগঠন পেসের নির্বাহী পরিচালক ইমামুল হক। অনুষ্ঠানে শুরুতে কমিউনিটি পার্টনারশিপ–সংক্রান্ত একটি গবেষণা তথ্য উপস্থাপন করেন উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ রীনা সেনগুপ্তা ও আইনজীবী নুসরাত জাহান। তাঁরা গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে বলেন, কানাডায় বিভিন্ন কমিউনিটির লোকদের সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন অ্যালায়েন্স থাকলেও টরন্টোয় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে সংগঠনগুলোর মধ্যে কার্যকর তেমন কোনো জোট নেই। এর ফলে শুধু কমিউনিটির উন্নয়নই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না, সংগঠনগুলোও তাদের কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়ছে। একই কাজের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। এতে সেবাগ্রহীতারাও বঞ্চিত হচ্ছে প্রাপ্ত সেবা থেকে। তাঁরা বলেন, টরন্টোয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সংগঠনগুলো একসঙ্গে কাজ করলে তথ্য আদান-প্রদান, পারস্পরিক আস্থা ও সংগঠনগুলোর ক্যাপাসিটিও অনেক বাড়বে। একই সঙ্গে সম্পদের সুষম ব্যবহার হবে।

আটটি সংগঠনের অংশগ্রহণকারীরা
আটটি সংগঠনের অংশগ্রহণকারীরা

জোটবদ্ধ সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বায়েসের চেয়ারপারসন গোলাম মোস্তফা, স্বস্তির নাদিরা তাবাচ্ছুম, দিশারির লুৎফুল করিম, টাইম টু টকের ডায়ানা সু, থিয়েটার ফল্কের সবিতা সোয়ানি, কানাডিয়ান সেন্টারের শোয়েব আহমেদ, পেসের গোলাম হিলালী ও সাংবাদিক পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।

এবিসির মিশনে বলা হয়, আমরা কমিউনিটির মধ্যে সম্পৃক্ততা, সহযোগিতা ও অংশীদারত্বকে অনুপ্রাণিত করতে চাই। যেখানে বেসরকারি সংগঠনগুলো তথ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে, গবেষণা করবে ও কমিউনিটির ভয়েস হিসেবে কাজ করবে।

জোটবদ্ধ সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, এবিসির দুই ধরনের সদস্য পদ থাকবে। যথাক্রমে সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত। আগ্রহীরা নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবিসির যোগাযোগ ই–মেইল: <[email protected]>

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আগামী এক বছরের কর্ম পরিকল্পনাও ঘোষণা করা হয়। যাতে সাংগঠনিক অগ্রগতির লক্ষ্যে কাজ করা, কমিউনিটি কনসালটেশন, গবেষণা, কমিউনিটি রিসোর্সেস ওয়েবসাইট তৈরি উল্লেখযোগ্য। বিজ্ঞপ্তি