গান-কবিতায় স্মরণ করা হলো তাঁর সৃষ্টিকে

টরন্টোয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা কানাডার রবীন্দ্রজন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন
টরন্টোয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা কানাডার রবীন্দ্রজন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা কানাডার আয়োজনে উদ্‌যাপন করা হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মজয়ন্তী। গত শনিবার (৪ মে) টরন্টোয় গান ও কবিতায় স্মরণ করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর সৃষ্টিকে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফারহানা আজিম বলেন, ‘স্বদেশ ও প্রবাসে এ ধরনের আয়োজন, সেই গত শতকের ষাটের দশকে রাষ্ট্রীয় বৈরিতায় রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষ পালনেরই ইতিবাচক ধারাবাহিকতা। সেই সময় থেকেই বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পরিচয়ের সঙ্গে রবীন্দ্রজন্ম-প্রয়াণের উদ্‌যাপন অনেকটাই সমার্থক হয়ে গেছে। আর আজকের পৃথিবীতে বিদ্যমান যুদ্ধ-বিগ্রহ, অতিকেন্দ্রিকতা, সাংস্কৃতিক বিচ্যুতি, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের উত্তরণে আমাদের আরও আরও বেশি করে প্রয়োজন রবীন্দ্রসংশ্লিষ্টতা, রবীন্দ্রসংলগ্নতা ও রবীন্দ্রঘনিষ্ঠতা।’

রবীন্দ্রজন্মদিবসকে সামনে রেখে সাজানো এ আয়োজনে সংস্থার শিল্পীরা সম্মেলক ও একক রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন। সূচনা বক্তব্যের পরপরই পরিবেশিত হয় চারটি সম্মেলক সংগীত—‘হে নূতন দেখা দিক আরবার’, ‘ওই মহামানব আসে’, ‘জগৎ জুড়ে উদার সুরে’, ‘বিশ্ব সাথে যোগে যেথায় বিহারো’। শিল্পীরা হলেন ইখতিয়ার ওমর, শাহজাহান কামাল, চিত্রা সরকার, নবিউল হক বাবলু, হাবিব উদ্দিন, শিখা আখতারী আহমাদ, মমতাজ মমতা, নিঘাত মর্তুজা শর্মী, ফারহানা আজিম শিউলী, মামুন কায়সার ও শ্রাবণী বড়ুয়া।

টরন্টোয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা কানাডার রবীন্দ্রজন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন
টরন্টোয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা কানাডার রবীন্দ্রজন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন

সম্মেলকের পর শিল্পীরা প্রত্যেকে দুটি করে একক গান পরিবেশন করেন।

খসরু চৌধুরী আবৃত্তি করে শোনান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি কবিতা।

উপস্থিত সুধীজনের আন্তরিক উপস্থিতিতে রবীন্দ্রজন্মতিথি স্মরণে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার এ আয়োজন থেকে সামনের দিনগুলোতে রবীন্দ্রচর্চাকে আরও গতিময় ও মাত্রিক করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি