ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ঈদ সংবর্ধনা

ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ঈদ সংবর্ধনা
ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ঈদ সংবর্ধনা

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ঈদ সংবর্ধনা। ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেট গত মঙ্গলবার (৪ জুন) এই সংবর্ধনার আয়োজন করে। ইস্তাম্বুল ও এর পাশের শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। দেশটিতে ৪ জুন ঈদ উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ উপলক্ষে কনস্যুলেটে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। অনুষ্ঠানে ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেশ ও বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশির মাঝে ঈদের আনন্দ ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ুক। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় ও গভীর হবে।

ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ঈদ সংবর্ধনা
ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ঈদ সংবর্ধনা

তিনি আরও বলেন, পরবর্তী দুই বছর (২০২০-২০২১) বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি বাড়ানোসহ বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংকরণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবমুখর পরিবেশে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে উদযাপন করতে যাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে তিনি সংক্ষিপ্তভাবে ইস্তাম্বুল ও এর পাশের শহরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের রূপরেখা তুলে ধরে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও আন্তরিক সহযোগিতা আশা করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে কনস্যুলেটের দূতালয়প্রধান ও কনসাল বিদোষ চন্দ্র বর্মন তুরস্কে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায়, বিশেষত বাণিজ্য, অর্থনীতি, শিক্ষা ও জনযোগাযোগ বৃদ্ধিতে সাম্প্রতিককালে মিশন কর্তৃক গৃহীত কর্মকাণ্ডের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন। মিশনের কনস্যুলার সেবা দ্রুততর ও আরও বন্ধুত্বপূর্ণ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে সার্বিক সেবা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে মিশনের উদ্যোগ ও কার্যক্রম সম্পর্কেও তিনি আলোকপাত করেন।

ঈদ অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময় পর্বে অতিথিরা তুরস্কে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার ক্ষেত্রে মিশনের প্রচেষ্টা ও কর্মপন্থার প্রশংসা করেন। তাঁরা ইস্তাম্বুল ও এর পাশের শহরগুলোতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে তাঁদের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি