দক্ষিণ কোরিয়ায় কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা
দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশি অধ্যুষিত এলাকা পুচ্ছন সিটির সংউরি মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে তৃতীয় ইপিএস বাংলা আন্তর্জাতিক কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিল। ২ জুন ইপিএস বাংলা কমিউনিটি এ প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, গাম্বিয়া, সেনেগাল, আফগানিস্তান ও কিরগিজস্তানসহ আরও কয়েকটি মুসলিম দেশের ৬৫ জন প্রতিযোগী এই কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের সুমধুর কণ্ঠে সবাই মুগ্ধ হন। সুরের মূর্ছনায় ছেয়ে যায় অমুসলিম দেশের আকাশ বাতাস। প্রতিযোগীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও ভারতের তিন বিচারকের রায়ে ১২০ পয়েন্টের মধ্যে ১০৪ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হন বাংলাদেশি হাফেজ আহম্মেদ হাসনাইন। রানারআপ হন বাংলাদেশেরই আরেক প্রতিযোগী মোজাম্মেল হক। তাঁর পয়েন্ট ১০২। তৃতীয় স্থান অধিকার করেন সেনেগালের ডাম সিসে। তাঁর পয়েন্ট ৯৮।
চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আহম্মেদ হাসনাইনকে দেওয়া হয় নগদ ৭ লাখ ওন (কোরীয় মুদ্রা)। রানারআপ মোজাম্মেল পান নগদ ৫ লাখ ওন। তৃতীয় স্থান অধিকারী পান ৩ লাখ ওন।
প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতে সেরা দশের সবার জন্য ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ও জিএমই রেমিট্যান্সের পক্ষ থেকে ছিল বিশেষ সান্ত্বনা পুরস্কার ও সার্টিফিকেট। এ ছাড়া দুজন সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগীর জন্যও ছিল উৎসাহমূলক পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটিতে কাতার দূতাবাসের প্রতিনিধি আনোয়ার আদম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জিএমই রেমিট্যান্সের মার্কেটিংয়ের হেড সজীব ও লোন অফিসার কামরুল হাসান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।
প্রতিযোগিতা শেষে ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের কয়েক শ ধর্মপ্রাণ মুসলিম অংশগ্রহণ করেন।
আন্তর্জাতিক এই কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিলে অফিশিয়াল স্পনসর হিসেবে ছিল জিএমই রেমিট্যান্স। সহযোগিতাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল কাতার দূতাবাস ও কাতার চ্যারিটি, সুমাইয়া টেক, কোরিয়া মুসলিম ফুড হালাল (KMF) ও সংউরি মসজিদ কমিটি।