দুজন ভিনদেশির গল্প

বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মাইকেল মিকেলপ
বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মাইকেল মিকেলপ

মিকের পুরো নাম মাইকেল মিকেলপ। তার সঙ্গে পরিচয় আমার বর্তমান কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই। অস্ট্রেলিয়ায় কোনো অফিসে নতুন কেউ কাজে যোগদান করলে তাকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ আছে। তখন সবার সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি সামান্য কথাবার্তাও হয়। সেই সূত্রেই মিকের সঙ্গে পরিচয়ের সময় জানতে পারলাম তিনি আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা। তিনি আমাকে নাম জিজ্ঞেস করলে আমি বললাম আমার নাম আলী।

ইয়াহু বললে ওদের উচ্চারণে সমস্যা হবে। তাই আলী নাম দিয়েই চালিয়ে দিলাম। আমার আগের অফিসেও আমাকে সবাই আলী বলেই চিনত। নতুন কর্মক্ষেত্রে এসেও বদলাইনি। আমি মিককে বললাম, আমাদের দেশ বাংলাদেশ। আমাদের অফিসে সবাই মোটামুটি আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মানুষ। এর বাইরে কয়েকজন লেবাননের আছেন। আর একজন মাত্র আছেন চীনা বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ান। সেদিক দিয়ে বিচার করলে আমিই প্রথম মানুষ, যার বাড়ি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়।

মিকের সঙ্গে পরিচয়ের পর দুপুরের খাবারের বিরতিতে আবারও আলাপ হলো। অফিসে দুপুরের খাবারের বিরতিতে ক্যানটিনে বসে খাবারের সময় সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপের রেওয়াজ আছে। মিক জানতে চাইল, ‘তুমি বাংলাদেশের কোন এলাকায় বসবাস করতে?’ আমি বললাম, আমার জন্ম পল্লি অঞ্চলে হলেও আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই রাজধানী ঢাকায় বড় হয়েছি। আমার চাকরিও ছিল সেখানে। তাই বলতে পার আমি ঢাকাতেই ছিলাম।

আমার উত্তরে শুনে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে গুগল করে ঢাকার রাস্তার জ্যামের ছবি বের করে আমাকে দেখিয়ে বলল, ‘ঢাকাতে তো দেখি অনেক গাড়িঘোড়া।’ আমি বললাম, হ্যাঁ। আর ট্রাফিক জ্যামও অনেক বেশি। দিনের একটা বড় অংশ আমাদের নষ্ট হয়ে যায় রাস্তায়। তবে জ্যামের কিছু উপকারিতা আছে। মিক উৎসাহী হয়ে জিজ্ঞেস করল, যেমন? আমি বললাম, কিছু মানুষ তখন ফেরি করে বিভিন্ন রকমের পণ্য বিক্রি করে।

আমি বলেই চললাম, যারা ফেরি করে বিভিন্ন রকমের পণ্য বিক্রি করে, তারা মোটেও সচ্ছল নয়। তবে এতে তাদের সুখের কোনো কমতি নেই। তুমি কোনো কিছু কিনলেও ভালো, না কিনলেও ভালো। তুমি যদি শুধু একটু মুচকি হেসে ওদের সঙ্গে কথা বলো, তাহলে দেখবে তারা তাদের হাড় জিরজিরে শরীর নিয়ে তোমাকে এমন একটা হাসি উপহার দেবে, যেটা তুমি জীবনেও ভুলবে না।

আমার কথা শুনে মিক আবারও গুগল করে ঢাকার রাস্তার ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালা এক কিশোরীর ছবি বের করে আমাকে দেখাল। কিশোরী একটা গাড়ির জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে এক তোড়া টকটকে লাল গোলাপ আর মুখে একচিলতে অপার্থিব হাসি। মিক কিশোরীর হাসিমাখা মুখ দেখে অভিভূত হয়ে গেল। আমি বললাম, আমরাই মনে হয় পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র জাতি, যারা দারিদ্র্য ও দুর্নীতিতে অনেক নিচে অবস্থান করেও সুখী দেশের তালিকায় অনেক ওপরে অবস্থান করে নিয়েছি। এর কারণ বাংলাদেশের এই সাধারণ মানুষগুলোর চাহিদা আসলেই অনেক সীমিত। আমার কথা ও বর্ণনা শুনে মিক তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল সে অবশ্যই একসময় বাংলাদেশ ভ্রমণে যাবে।

প্রায় প্রতিদিনই আমাদের কোনো না কোনো কিছু নিয়ে আলাপ হয়। সেখানে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য থেকে শুরু করে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস-ঐতিহ্যও স্থান পায়। আমি সংক্ষেপে বাংলাদেশের ইতিহাস বললাম। মিকও আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস সংক্ষেপে বলল। আমি বললাম, ইংরেজরা ভারতবর্ষে গিয়েছিল বাণিজ্য করতে। তারপর একসময় তারা সেখানকার শাসনভার নিজেদের হাতে তুলে নেয় এবং প্রায় ২০০ বছর শোষণ করে। আর ভারতবর্ষ ছেড়ে আসার সময় সবচেয়ে খারাপ কাজটা করে আসে। ভারতের প্রধান দুই ধর্মাবলম্বী হিন্দু ও মুসলমানের ভিত্তিতে দ্বিজাতিতত্ত্বের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠন করে দিয়ে আসে। অবশ্য স্থানীয়দেরও এ ব্যাপারে ইন্ধন ছিল।

আমার কথা শুনে মিক বলল, একই কারণে আয়ারল্যান্ডের মানুষেরাও ইংরেজদের অপছন্দ করে। তারা আমাদেরও প্রায় ২০০ বছর শোষণ এবং অনেক রক্ত ঝরিয়েছে। আর যখনই কেউ একটু প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছে, তখন তাকে ধরে বন্দী করে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছে। এর প্রতিবাদ হিসেবে আয়ারল্যান্ডের বেশির ভাগ মেয়েশিশুর নাম একসময় রাখা হতো সির্সা, যার ইংরেজি অর্থ হচ্ছে স্বাধীনতা।

একদিন মিক আমাকে একটা লিংক মেইল করে বলল, তুমি যেহেতু ইতিহাস নিয়ে পড়তে ভালোবাসো, এখানে অনেক তথ্য পাবে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস নিয়ে। আমি সেটা পড়ে মিককে বললাম, আসলেই তোমাদের ইতিহাসও অনেক বেশি মর্মান্তিক ও হৃদয়স্পর্শী। এরপর আমি নিজেই একদিন রোর বাংলার পাতায় আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসের একটা সামগ্রিক চিত্র নিয়ে একটা আর্টিকেল পড়ে মিকের সঙ্গে আলাপ করলাম। এভাবেই আমাদের বন্ধুত্ব দিনে দিনে অনেক মাত্রা পেয়েছে।

ক্রিকেট বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আমাদের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমাদের আরেক সহকর্মী শেন ম্যাথিউ নিয়মিত ক্রিকেট খেলা দেখেন। শেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। শেনকে বললাম, আমি দুটো দলের ক্রিকেট খেলার প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। একটা হচ্ছে নিউজিল্যান্ড, অন্যটা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দুই দলই আসলে ক্রিকেটের মূল্যবোধটা ধারণ করে যে, ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। এ কথা শুনে শেন আমাদের অস্ট্রেলীয় বসকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলল, ‘আর বলো না, অজিদের স্লেজিংয়ের জ্বালায় ক্রিকেট তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে।’ আমিও তাল দিয়ে বলি, একদম ঠিক। এভাবেই হাসি-ঠাট্টাতে আমাদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে নিয়মিত আনন্দ আড্ডা বসে।

কথা প্রসঙ্গে শেন মিককে জিজ্ঞেস করল, তোমাদের দল তো ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি বড় দলগুলোর নোংরা রাজনীতির কারণে। তুমি কোন দল সাপোর্ট করবে। শুনে মিক নির্দ্বিধায় উত্তর দিল, ‘আমি বাংলাদেশকে সাপোর্ট করছি এবার।’ শুনে আমার বুকটা গর্বে ভরে গেল। ইতিমধ্যেই মিক আমার কাছ থেকে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, অলরাউন্ডার, বোলার সম্পর্কে সব খবর জেনেছে।

বাংলাদেশের পতাকা হাতে বিনোদ ওঝা
বাংলাদেশের পতাকা হাতে বিনোদ ওঝা

এরপর আমি বাংলাদেশ থেকে জার্সি নিয়ে এলাম শ্যালক প্রিতম আর অগ্নি আপুর মাধ্যমে। প্রিতম কিনে অগ্নি আপুর বারিধারার বাসায় পৌঁছে দিয়েছিল। আর অগ্নি আপু দেশ থেকে নিয়ে এসে সাউথ অস্ট্রেলিয়া থেকে আমাদের অফিসের ঠিকানায় কুরিয়ার করে দিয়েছে। যেদিন জার্সি এল, মিক সেগুলো হাতে নিয়ে বলল, ‘আমার সাইজ হবে না।’ তখন মনে হলো আসলেই তো আমি মিককে একটা জার্সি কিনে দিতেই পারতাম। আমি বললাম, ভেবো না, আমি জোগাড় করছি একটা তোমার জন্য। শুনে মিক বলল, ‘আরে না, আমি তোমারটা পরেই একটা পোজ দিয়ে দেব। তুমি ছবি তুলে রেখ।’ আমি বললাম, ঠিক আছে তা-ই সই। এরপর মিক আমার জার্সিটা পরে ভিক্টরি সাইন দেখিয়ে একটা ছবি তুলে ফেলল।

নেপালের অধিবাসী বিনোদ দাদার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ট্রেনে। আমি মোবাইলে বাংলায় কথা বলছি শুনে তিনি আমাকে চিনেছিলেন একজন বাংলাদেশি হিসেবে। কথা শেষ হওয়ার পর আমার পাশে বসে থাকা বিনোদ দাদা আমাকে চমকে দিয়ে বলেছিলেন, ‘দাদা ভালো আছেন?’ আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকাতেই তিনি বললেন, ‘আমি গ্র্যাজুয়েশন করেছিলাম বাংলাদেশ থেকে। তাই বাংলাটা পুরোপুরিই জানি।’ এরপর আমাদের প্রায়ই দেখা-সাক্ষাৎ হতো ট্রেনে। পরে আমার বাসের রুট বদলে যাওয়াতে দেখাটা আর সেভাবে হয় না। কিন্তু ফেসবুকে যোগাযোগটা আছে। ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই আমাকে নিয়মিত মেসেজ দিতেন, বিশেষ করে যেদিন বাংলাদেশের খেলা থাকত, আমাকে জিজ্ঞেস করতেন, আমার কাছে অনলাইনে খেলা দেখার কোনো লিংক আছে কি না।

গতবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যখন কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যায়, আমার চেয়ে বিনোদ দাদা বেশি দুঃখ পেয়েছিলেন। বারবার আম্পায়ারিংয়ের ভুলগুলো তুলে ধরছিলেন আর বলছিলেন, ‘ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা, এটা এখন আর কেউ বিশ্বাস করবে না।’ এবারও যেদিন বাংলাদেশ খেলেছে, তিনি খেলা শেষে আমাকে মেসেজ দিয়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ বিজয়ী হলে তিনি আমাকে কখনোই অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচের আগের দিন মিক ও বিনোদ দাদা দুজনই আমাকে শুভকামনা জানালেন। বিনোদ দাদা তো বলেই বসলেন, ‘ভাই এই ম্যাচটা আপনার সঙ্গে বসে দেখতে ইচ্ছা করছে। আপনি মিন্টো থেকে হার্স্টভিলে চলে আসেন। একসঙ্গে খেলা দেখি।’ উত্তরে আমি বললাম, তাহলে তো খুবই ভালো হতো। কিন্তু বাচ্চাদের রেখে আসাটাই মুশকিল। সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার পর যথারীতি আমি খেলা না দেখে অনলাইনে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ওয়েবসাইটের লাইভ স্কোরে নজর রাখছিলাম। আর বিনোদ দাদা সময়ে সময়ে আমাকে খুদে বার্তা দিয়ে ম্যাচের ভুলগুলো জানিয়ে দিচ্ছিলেন।

তামিম ক্যাচ ফেলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি খুদে বার্তা দিলেন, ‘দাদা এভাবে ফিল্ডিং দিলে তো হবে না।’ আর রোহিত শর্মার ক্যাচ ফেলে দেওয়া মানে হচ্ছে স্কোরবোর্ডে নির্ঘাত একটা বড় রানের পাহাড় যোগ হওয়া। আমিও উত্তর দিচ্ছিলাম। এভাবে ফলো করতে করতে ক্লান্ত হয়ে একসময় ঘুমিয়ে পড়লাম। ভোরে ঘুম থেকে উঠে একবার স্কোর দেখলাম। সাব্বির আর সাইফ ব্যাট করছে। ভাবলাম এখনো আশা আছে। আবার ঘুমিয়ে গেলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম বাংলাদেশ হেরে গেছে। বিনোদ দাদা আমাকে আবারও খুদে বার্তা দিলেন, ‘ব্যাপার না দাদা, ইনশা আল্লাহ পরেরবার হবে।’

অফিসে আসার পর মিক বলল, ‘সরি আলী। আমি মনে হয় বাংলাদেশের জার্সি না পরলেই ভালো ছিল।’ আমি বললাম, তুমি জার্সি পরার কারণে তো আর বাংলাদেশ হারেনি। তাই তোমার দুঃখিত হওয়ার কারণ নেই। হারজিত খেলারই অংশ, আর আমি খুবই সহজভাবে এগুলোকে নিই।

ভৌগোলিক সীমারেখার বাইরে গিয়ে সেই দেশের প্রত্যেকটা মানুষ নিজ দেশের একেকজন প্রতিনিধি। একটা দেশের মধ্যে ভালো-মন্দ অনেক ব্যাপারই ঘটে। কিন্তু আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে আপনি বাইরের মানুষের কাছে ঠিক কীভাবে আপনার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চাচ্ছেন। বাংলাদেশে আমার প্রথম চাকরিতে আমাদের ফিলিপিনো বসের কাছে একদিন দেশ নিয়ে, দেশের রাজনীতি নিয়ে অনেক খারাপ মন্তব্য করেছিলাম। সেটা শুনে আমার বন্ধু শিবলী, যাকে আমি পার্টনার বলে ডাকি, সে বলেছিল, ‘ইয়াকুব, একটা দেশকে ছোট করতে কিছুই করা লাগে না। কিন্তু একটা দেশকে বিদেশিদের কাছে কখনোই ছোট করতে নেই। কারণ আমরা এই সিস্টেমের মধ্যে বেড়ে উঠেছি। তাই দেশকে ছোট করা মানে আসলে নিজেকেই ছোট করা আর আমার-তোমারই দায়িত্ব, একটা ছোট অংশ হিসেবে দেশটাকে সংশোধন করার দায়ভার ঘাড়ে তুলে নেওয়া।’ এরপর থেকে আমি বাইরের দেশের কোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় খুবই সাবধান থাকি।

একটা দেশের মধ্যে অনেক কিছুই ঘটবে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনি দেশে বা দেশের বাইরে যেখানেই থাকেন না কেন, সেটা আপনাকে স্পর্শ করবেই। আপনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করতে পারেন। কিন্তু খারাপ জিনিসগুলোকে ট্রল করে আমরা কেন জানি নিজেদের আরও নিচে নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কারণ, একটা খারাপ কাজ আরও দশটা খারাপ কাজকে উৎসাহিত করে। পাশাপাশি ক্রিকেটের মতো বিষয়গুলো আবারও আমাদের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে। একেকজন ক্রিকেটার যেন বাংলাদেশের এক-একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। আর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আচার ব্যবহার এখন পর্যন্ত ক্রিকেট বিশ্বকে মুগ্ধ করেই চলেছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও তাদের এই ধারা অব্যাহত থাকবে ও আরও বেশি শাণিত হবে। তখন মিক ও বিনোদ দাদার মতো আরও অনেক বিদেশি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সমর্থন জানাবে।