বঙ্গবন্ধুর সত্তা জুড়ে ছিল বাংলা ও বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন

ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ আগস্ট কনস্যুলেট কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, মোনাজাত, এক মিনিট নীরবতা পালন, বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা।

আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীরা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও তাঁর সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য দিকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন ইকবাল আহমেদ
বক্তব্য দিচ্ছেন ইকবাল আহমেদ

মিলানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ তাঁর বক্তব্যে এ দিনের ঘটনা পরম্পরা ও বাঙালি জাতির জীবনে এ বিয়োগান্ত ঘটনার সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাবের দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।

ইকবাল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মধ্যে যারা এখনো বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রবাসীদেরও নিজেদের অবস্থানে থেকে ভূমিকা পালনের চেষ্টা করতে হবে।

ইকবাল আহমেদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমগ্র সত্তা জুড়ে ছিল বাংলা ও বাংলাদেশ। সে কারণেই তাঁর নৈমিত্তিক উচ্চারণ ছিল সোনার বাংলা এবং তাই জাতীয় সংগীত হিসেবেও ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি তিনি নির্বাচন করেন। তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশকে উন্নয়নের অনন্য মাত্রায় অধিষ্ঠিত করেছেন।

আলোচনা সভায় উপস্থিতি
আলোচনা সভায় উপস্থিতি

ইকবাল আহমেদ সরকার কর্তৃক গৃহীত নানা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতেই বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ সার্থকতা পাবে।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠ করেন কনস্যুলেটর কর্মকর্তারা। পরে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে কোরআনখানি ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি