কবুল কাহিনি

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

ঠিক কবুল বলা মাত্রই আমার মনে হলো কবুল বলা একদম উচিত হয়নি। নিজেকে একটু চিমটি কেটে দেখলাম, যদি স্বপ্ন হয়। স্বপ্ন তো হলোই না, উল্টো বোনাস হিসেবে হাতে মেহেদির সুন্দর ডিজাইনের পাশে নখের দাগ পড়ে গেল। কে বলেছে এত জোরে চিমটি কাটতে? উফ।

এই মুহূর্তে কবুল বলাটাকে বাতিল করা যায় কি না ভাবছি। পাশেই মা আছেন। আচ্ছা, মাকে জানালে কেমন হয়? কবুল বলতে চাচ্ছি না আপাতত। আমার একটু সময় দরকার।

আমার চিন্তায় দুশমনের ভঙ্গিতে মায়ের আগমন ঘটল। মনে হলো মা যেন ধমকাচ্ছেন। তখনই হঠাৎ টের পেলাম, মা আমাকে আসলেই ধমক দিচ্ছেন। আমার সাড়াশব্দ না পেয়ে এবার আমার হাত দুটো এক করে মোনাজাতের মতো ধরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। আমি আশপাশে তাকিয়ে দেখলাম, সবাই মোনাজাত ধরেছে। আচ্ছা, কিসের মোনাজাত? ওহ, কবুল বলার পরে মোনাজাত ধরতে হয় তো।

আবার মনে পড়ল কবুল বলার কথা। কেন বললাম? না বললে আজ আর মোনাজাত ধরতে হতো না। আমি অবিবাহিত থাকতাম। কী হবে এই বিয়ে দিয়ে? আল্লাহ, আমি কেন রাজি হলাম বিয়ের জন্য? সারা শরীর কাঁপছে আমার। মোনাজাত ধরতেও পারছি না। সবাই এখনো মোনাজাত ধরে আছে।

আমি একটু আড়চোখে দূরে মোনাজাত ধরে বসে থাকা ফয়সালের দিকে তাকালাম। ফয়সাল আমার হবু বর। না, বর তো হয়েই গিয়েছে। কবুল বলেছি না? কেন বললাম কবুল? আবার কাঁপতে লাগলাম। নিজেকে থামাতে চেষ্টা করলাম, পারলাম না। বুঝলাম এই কাঁপুনি আমার নিয়ন্ত্রণে না। আমার কাঁপুনি বাড়ছে। বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে আমি মায়ের কোলে হেলে পড়ে গেলাম। আর কিছুই মনে করতে পারলাম না।

চোখ খুলে নিজেকে আবিষ্কার করলাম ফুলের সুবাসে মোহনীয় এক জায়গায়। যা দেখছি সব ফুল আর ফুল। কত রঙের ফুল। আকাশ থেকে থরে থরে নেমে আসছে আমার দিকে। কোথায় আমি? মরে গিয়েছি নাকি? এত ফুলে ফুলে সজ্জিত কামরা, নিশ্চয়ই আমি জান্নাতে। নিজের মনের অজান্তেই নিজেকে চিমটি কাটলাম স্বপ্ন কি না বোঝার জন্য এবং প্রচণ্ড ব্যথায় চিৎকার করে উঠলাম। আমি বাজি ধরে বলতে পারব, আমার মতো এত শক্তিপ্রয়োগ করে কেউ কখনো নিজেকে চিমটি কাটবে না। আমি কাটি, কারণ আমি বেকুব। মাথার কয়েকটা তার ছেঁড়াও হতে পারে, বলা যায় না।

আমি কোথায় আছি তা বুঝতে আমার আর দেরি হলো না। এ জন্য চিমটি কাটার ঘটনাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। নিজের চিমটির ব্যথায় নিজের চিৎকারে আমার পাশের রুমে থাকা সবাই দৌড়ে চলে এল। সবার আগে এল আমার বর ফয়সাল। তাকে দেখে আমি বুঝলাম এটা তার বাড়ি। তার সাজানো কামরা। আমার জন্যই সাজিয়েছে বোঝা যাচ্ছে। ফুলশয্যার সাজ।

কিন্তু আমি এখানে কেন? যতটুকু মনে পড়ছে আমি বিয়ের আসরে ছিলাম। মোনাজাত ধরার পর মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। তারপর এই ঘর। না, এর মধ্যে আর কিছু মনে পড়ছে না তো। আমার পরিবার কি অজ্ঞান মেয়েকে পাঠিয়ে দিয়েছে স্বামীর বাড়ি? তাদের কি উচিত ছিল না আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া?

প্রচণ্ড ক্রোধে আমি যেই না কিছু বলতে যাব, খেয়াল করলাম ফয়সাল আমার পালস চেক করছে। ওর পরনে শেরওয়ানি আর গলায় স্টেথিসকোপ। ওহ। মনে পড়ল ফয়সাল নিজেই তো ডাক্তার। সে জন্যই হয়তো আমাকে তার বাড়ি নিয়ে এসেছে। তার বাড়িতে ঢোকার পাসওয়ার্ড তো আমি নিজেই pass করে এসেছি। কবুল বলেছি। মা শুনেছেন, কাজি সাহেব শুনেছেন, সবাই শুনেছেন আমার কবুল বলা। সবাই সাক্ষী রয়ে গেল আমার বিয়ের। কেবল আমার গলায় কাঁটা বিঁধে গেল।

লেখিকা
লেখিকা

ফয়সাল বেশ কয়েকবার জানতে চাইল কেমন বোধ করছি? আমি অনিচ্ছায় উত্তর দিলাম, ভালো। কিছু খাব কি না, তা–ও জানতে চাইল। খুব রাগ হলো আমার। একে তো সেই দুপুর ১২টায় পারলারে গিয়ে হাত পালিশ, পা পালিশ, চুল পালিশ করে, মুখের ওপর কয়েক আস্তর রং মাখামাখি করে কবুল বলেছি। দুপুরে খাওয়ার সময় পাইনি। রাতে কবুল বলে হয়েছি বেহুঁশ। আর এখন আমার বর আমাকে বলছে, আমি কিছু খাব কি না। পারলে তো আমি হাতি–ঘোড়া খাই। পেটে এমন ক্ষুধা। কিন্তু রাগটা আরও বাড়ল এই ছোকরার কথা শুনে। মাথা নেড়ে জানিয়ে দিলাম, হাজীর বিরিয়ানিও খাব না এখন।

এক মহিলা এসে আমার পাশে বসলেন। বললেন, শরীর একটু ভালো লাগলে শাড়ি–গয়না পাল্টে ফ্রেশ হয়ে নিতে। আমারও মনে হলো, ফ্রেশ হওয়া উচিত। কিন্তু এরপর কী? যাকে কবুল বলেছি তার বাসায় থাকতে হবে? ভাবতেই ছটফট করতে লাগলাম। এই বিয়ে আমি চাইনি। নিজের ক্যারিয়ার গুছিয়ে বিয়েটা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি যখনই পাত্রপক্ষকে ‘না’ বলে দিতাম, আমার মায়ের সর্বাঙ্গে অসুখ দেখা দিত। আর ওই সব অসুখের ওষুধ ছিল একটাই। বিয়ে নামক প্রথায় ‘হ্যাঁ’ বলা। যা আমি কোনোভাবেই বলতে চাইনি। অবশেষে যখন মায়ের চুল আর নখেও ব্যথা শুরু হলো, তখন আর আমি না করতে পারিনি। যার ফলাফল, বরের বাড়িতে।

একরাশ বিরক্তি নিয়ে উঠে বসলাম। যাই ফ্রেশ হয়ে আসি অন্তত। এই ঝাকানাকা শাড়ি–গয়নায় আমি পাগলপ্রায়। মোটামুটি দুই ঘণ্টা লাগিয়ে মুখের রং তুললাম। কিন্তু মাথার পাহাড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না। দুনিয়ার সব রাগ আমার ওই মাথার পাহাড়ের ওপর গিয়ে পড়ল। কে বলেছে চুলকে এত উঁচু টাওয়ার বানাতে? আমি তো খালি ব্রাইডাল মেকআপ নিতে গিয়েছি। মাথার চুলের পোস্টমর্টেম না করলে কী ব্রাইডাল মেকআপ হয় না?

আমি যখন যন্ত্রণার উচ্চ স্থানে, বাথরুমে নক করার শব্দ পেলাম। লকড বাথরুমে নক করা আমার মতে পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে স্বভাব। কেউ তো আর নাইট পার্টি করতে বাথরুমে গিয়ে বসে থাকে না। আমার বাসায় এই কাজটি কেউ করে না। কিন্তু যেহেতু আমি আমার বরের বাড়ি, ওদের নিয়মকানুন আলাদা হবে তাই স্বাভাবিক। ওই যে, ডেকেই চলছে। আরে ভাই, বাইরে তুমি যে–ই হও, একাধিকবার ডাকলেই কি আমি আমার প্রয়োজন শেষ না করে বের হতে পারব? আর তুই ব্যাটা ডাক্তার। তোর বাড়িতে বাথরুম একটা থাকবে কেন? নাহ, আর সম্ভব না, কেউ এত বিরক্ত করতে পারে? আল্লাহ, কোথায় এলাম? কেন এলাম?

কোনোমতে সালোয়ার-কামিজের ওড়নাটা মাথায় দিয়ে চুলের উঁচু পর্বত ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করে বাথরুম থেকে বের হলাম। দেখি ফয়সাল সাহেব দাঁড়িয়ে। ভাবলাম কিছু কড়া কথা বলব। তার আগেই একটা হারবাল তেলের শিশি আমার দিকে বাড়িয়ে দিল। বলল, এটা নাকি মেকআপ ও হেয়ারের স্প্রে শিথিল করতে খুব কার্যকরী। তাদের হাসপাতালে পাওয়া যায়। আমার লাগবে কি না?

আমার মেজাজ সপ্তমে চড়ল। আচ্ছা, তুই এই জিনিস আগে দিবি না? দুই ঘণ্টা আমি মুখ পালিশ, চুল পালিশ দূর করার অমানবিক কসরত করার পর তোর হাসপাতালের তেলের বিজ্ঞাপন দিতে হলো? হাত থেকে শিশিটি কেড়ে নিয়ে বাথরুমের দরজা লাগিয়ে দিলাম। চুলের হিমালয় আগে মাটিতে নামাতে হবে। তারপর অন্য কিছু ভাবা যাবে।

তেলটা আসলেই কার্যকরী। আধঘণ্টায় আমি নিজের চেহারা ও চুল ফিরে পেলাম। খুব ভালোমতো গোসল করলাম আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম কী করব? ফয়সালের সঙ্গে থাকা কোনোভাবেই সম্ভব নয় এই মুহূর্তে। তাকে আমি চিনি না। পরশু দিন দেখতে এসে আজকে পানচিনি করানোর প্ল্যান ছিল। আমিও ভেবেছি, পানচিনির পর চেনাজানা হবে। ভালো না লাগলে বিয়ে হবে না। হুট করে আজ পানচিনির আসরে কোনো কথা ছাড়াই কাজি এসে বিয়ে পড়িয়ে দিলেন। আর এখন আমি ফয়সালের বাড়ি। কাল যে অফিসে আমার কত জরুরি মিটিং আছে, এই বিষয়টাও আমার পরিবার আমলে নিল না। বিয়ে পড়িয়ে স্বামীর বাড়ি পাঠিয়ে দিল। বুঝলাম, আমার সব বান্ধবী এখন বাচ্চার মা, তাই বলে এভাবে আমাকে বলিদান দিতে হলো? ঠিক করলাম ফয়সালকে বলব আমি এই বাড়িতে আপাতত থাকব না। কোনোভাবেই না।

বাথরুম থেকে বের হতেই ডাক্তার ফয়সালের চেহারা দেখতে হলো। আমি কী বলব মোটামুটি মনে মনে গুছিয়ে ফেলেছি। ফয়সাল আমার গোছানো চিন্তায় অ্যাটম বোম ফোটানোর কাজ করল। আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল, একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় আমাকে নিয়ে আসা হয়েছে। আমার সঙ্গে ব্যাপারটা অন্যায় হয়েছে। সে মনে করে আমার নিজের বাড়ি চলে যাওয়া উচিত। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে অনুষ্ঠান করে আমায় এই বাড়িতে নিয়ে আসার ইচ্ছা ফয়সালের।

মেজাজ এবার দশমে চড়ল। যদি এমনই থাকে পরিকল্পনা, আমাকে এই বাড়িতে আনা হলো কেন? আমার কি ঘর বাড়ি ছিল না? দেশে কি হাসপাতাল ছিল না? আমার গা জ্বালা করতে লাগল। ঠিক করলাম ফয়সালের চৌদ্দগুষ্টি ধুয়ে দিয়ে বের হয়ে যাব।

ঠিক তখন ফয়সাল আবার কথা শুরু করল, আসলে আপনি এমন একটা অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন। বিয়ের সাজসজ্জা নিয়ে হাসপাতালে আপনাকে নিয়ে গেলে আবার আপনি বিব্রত হতে পারেন। আবার কবুল বলার পর আপনার বাসায় নিয়ে যাওয়াটা কেমন যেন বিবাহবিরোধী রীতি মনে হয়েছিল। বেশ ঘাবড়ে গেলাম। তখন মুরব্বিরা বুদ্ধি দিল আপনাকে আমার বাসায় নিয়ে আসতে। চিকিৎসাও করা গেল, আবার বিবাহ–পরবর্তী সামাজিক রীতিটাও বজায় রইল। কিন্তু যেহেতু আপনি এখন একটু ভালো আছেন, আমি মনে করি আপনি আপনার বাসায় চলে যান। নিজেকে একটু সময় দিন। এভাবে হুট করে আমার বাসায় থাকতে আমি আপনাকে বাধ্য করতে পারি না। তার ওপর আপনার নিজেরও একটা লাইফ আছে, জব আছে। বাকিটা আপনার বিবেচনা। সত্যি কথা বলতে, পানচিনির অনুষ্ঠানে বিয়ে হয়ে যাবে আমিও একদম প্রস্তুত ছিলাম না। কবুল বলার পরে মনে হলো কী করছি এই সব? আপনার অনুমতিও নেওয়া হলো না!

ফয়সালের কথা শুনে আমার মাথা আবার ঘুরতে লাগল। এই লোক দেখি আমার মনের সব কথা বলছে। আমি কী বলব তাহলে? মেজাজ আবার গরম হয়ে গেল। আরে, আমি তাকে কিছু কড়া কথা শোনাতে চাচ্ছিলাম। আর কোনো সুযোগই পাচ্ছি না। এ কেমন বিচার? সব দোষ ওই কবুলের? কবুল না বললে তো এই লোক আমার মনের কথাগুলো আমাকে এভাবে শোনাতে পারত না। রাগে আমি আবার কাঁপতে লাগলাম। কাঁপতে কাঁপতে পড়েই যাচ্ছিলাম, ফয়সাল আমাকে জাপটে ধরল। ব্যস, আর কিছু মনে নেই।

ঘুম ভাঙল পরদিন সকালে। আবিষ্কার করলাম আমার হাতে স্যালাইন। মাথার চারদিকে কাল রাতের ফুলগুলো। আচ্ছা, এগুলো কী প্লাস্টিকের ফুল? বাসি হলো না কেন? নাকে লাগছে তীব্র ফুলের গন্ধ। প্লাস্টিকের ফুল হলে সুবাস থাকত না। আমার অবচেতন মনের অদ্ভুত ভাবনাকে আঘাত করল ফয়সালের গলার স্বর।

: এখন কেমন বোধ করছেন?

আমার হুঁশ হলো। লোকটা আমার সামনে বসে আছে। নিশ্চয়ই সারা রাত বসে ছিল। কারণ তার চোখ দুটি নির্ঘুম চোখের মতো লাল টকটকে। আমি কী বলব বুঝতে পারছিলাম না।

ফয়সালই কথা শুরু করল, আচ্ছা আপনার সমস্যা কী? বারবার ফিট হয়ে যাচ্ছেন কেন?

আমার মুখ দিয়ে যা বেরোল, আমি নিজেও তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না!

: আমি কেন কবুল বললাম?

ফয়সাল আমার কথা বোঝেনি মনে হয়। বলল excuse me!

আমি আবার বললাম, আমি কবুল বললাম কেন?

এবারও আমি অবচেতন মনেই বললাম। ফয়সাল আমার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইল! কিছুক্ষণ পর নিজেই বলল, সেই প্রশ্ন তো আমারও। আমি কেন কবুল বললাম?

আমি নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমার মতো অবস্থা ফয়সালেরও? কী হবে আমাদের এখন?

কেন যেন আবার খুব রাগ হলো। বললাম, আপনি জানতেন আপনি কবুল বলবেন। এই যে ঘরটাকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে রেখেছিলেন!

ফয়সাল আমার এ রকম উত্তর মনে হয় আশা করেনি। হতভম্ব একটা চাহনি নিয়ে বলল, বুদ্ধিমতী মেয়ে বরাবরই আমার পছন্দ। আমি সত্যিই কবুল বলার উদ্দেশ্যেই কাল গিয়েছিলাম। কিন্তু আপনি যেহেতু জানতেন না যে আপনি কবুল বলবেন, আমার কাছে একটা বুদ্ধি আছে। চলুন, খুঁজে বের করি আপনার কবুল বলার কারণ!

: সেটা কীভাবে?

: আমার সঙ্গে থাকা শুরু করুন। একসঙ্গে হাত ধরে খুঁজে বের করব কবুলের ইতিবৃত্ত!

আমার আবারও রাগ হলো। বিয়ের ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই অধিকার ফলানো? রাগে আবার কাঁপতে লাগলাম। মনে হচ্ছে আবারও ফিট হয়ে যাব। আধো জ্ঞান আধো অজ্ঞান অবস্থায় শুনতে পাচ্ছিলাম ফয়সালের কথা, এই মেয়ে তো সারাক্ষণ অজ্ঞান হয়ে যায়। ডাক্তারই তার উপযুক্ত স্বামী। আল্লাহ ভালোই মিলিয়েছে। আর ছাড়ছি না একে!

ব্যস, আমার আর কিছু মনে নেই!
---

কাজী সাবরিনা তাবাসসুম: মিলান, ইতালি।