লন্ডনে বাংলাদেশ বইমেলায় 'বঙ্গবন্ধু কর্নার'

বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

এবার লন্ডনে বাংলাদেশ বইমেলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই মেলার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু কর্নার।

মেলায় আসা দর্শনার্থীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর লেখা বিভিন্ন বই গভীর আগ্রহ নিয়ে দেখেন। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোস্টার ও ব্যানারে সাজানো এই স্টলে শেখ হাসিনার লেখা বইগুলোও প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। দর্শকেরা এসব বই কেনার ও সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকাশকের তথ্য এই স্টল থেকে নেন।

পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে বেলুন উড়িয়ে সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্য আয়োজিত এই বইমেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে ধরে রাখতে এবং এর প্রসারে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে লন্ডনের বিভিন্ন কমিউনিটি পাঠাগারে আরও বেশি করে বাংলা বই রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বইমেলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার
বইমেলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের মেলায় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন’ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশ ও অন্য দেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। বইমেলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার তারই একটা পূর্বপ্রস্তুতি বলা যায়।

তিনি বইমেলার আয়োজকদের ধন্যবাদ এবং যুক্তরাজ্যে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি প্রসারে অভিবাসী বাংলাদেশিরা যে ভূমিকা রেখে চলেছেন, তার প্রশংসা করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী এক ভিডিও বার্তায় বইমেলার সাফল্য কামনা করেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন সাইদা মুনা তাসনিম
বক্তব্য দিচ্ছেন সাইদা মুনা তাসনিম

উল্লেখ্য, আবদুল গাফফার চৌধুরী গত ১৫ আগস্ট থেকে পায়ের ব্যথার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আগামী প্রকাশনী এবার মেলা উপলক্ষে তাঁকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ও আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গনি হাসপাতালে গিয়ে গাফ্ফার চৌধুরীর কাছে গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এই সম্মাননা স্মারক হস্তান্তর করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক শামীম আজাদ, সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্যের সভাপতি ফারুক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বুলবুল ও ড. মুকিত খান উপস্থিত ছিলেন।

এবারের বইমেলায় বাংলাদেশ থেকে ১৫টি প্রকাশনা সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেয়। মেলায় বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি লেখকদের বই স্থান পায়। বিজ্ঞপ্তি