পরঘরি কথা

অলংকরণ: সব্যসাচী মিস্ত্রী
অলংকরণ: সব্যসাচী মিস্ত্রী

বড় অলীক অলীক সবকিছু দেখছি চারপাশে
পেরিয়ে যাচ্ছি মানিকদীর বাঁশের সেতু
চড়াই-উতরাই রাস্তা ধরে...
তারপর
পেরিয়ে যাচ্ছি শুয়াপুল ঘন শালবন
শিঙাড়ার বন।
হাতে প্রত্ন লিপির নকশা, ছায়া ছায়া ছাপ
দেখছি পথে,
যে পথে গরুর গাড়ি উড়ছে...
সিসিমপুরের রাস্তা ধরে ম্যাপলপাতা নিয়ে
পথভ্রষ্ট শিশুদের মতো বারান্দায় দুলছে পরি
শুধু রাতে নয় দিনের আলোতে অদ্ভুত এক ভাঙা খেলা খেলছে সে
তার চোখগুলো ঈর্ষার রঙে লাল।
শত শত মানুষ নিচু মুখ করে চলছে তো চলছেই
প্রত্যেকের শরীরে পলাতক আলো
যতটুকু দেখতে পাচ্ছি, তা নিমেষেই ঢেকে দিচ্ছে,
যা পাচ্ছি না দেখতে। 

আমার অপয়া ঘুম আত্মার কল্পনার ভিতে হাত দিয়ে ফেলেছ
তুমি বুঝি জানতে না আমি মৃত খোলসের আড়ালে বিশ্রামে আছি
চোখে রুমাল চাপা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম
দেখো ছাব্বিশ দশকের রূপকথা লেখা আছে রুমাল ভর্তি
স্মৃতির নীল দরজা খুলে দিল কে বা
দৃষ্টির সামনে লাল ঘাসে নীল ঘোড়া
ধুলো মাখা পিঁড়িতে কালার বাঁশি ভাঙছে
আনন্দে মনের মাধুরী মিশিয়ে
তিরবিদ্ধ, প্রাকপুরাণ কাতরায় সারি সারি দাহ পুথি।
আমার বড্ড ক্ষুধার উদর,
আর ঢেলো না গরম ভাতে জল
ডেবিট ক্রেডিট দুটো কার্ড ছেড়ে এসেছি
মৃত্যু ভিলায়
কচ ও দেবযানী আমার জন্য অপেক্ষা করছে বহু শতক ধরে কষ্টিপাথর হয়ে।
দশরথ ও কৈকেয়ীর সভায় আজ উচিত
বিচার হবে
সমাজের ভাঙন-উত্থান বদলে যাওয়ার,
আমি একলা চাঁদ, এর কান্নাজল আজ জীবন্ত পাঠ হয়ে উঠব
চাঁদ জোনাকির অন্ধকারের গল্প হয়ে।

নাজমীন মর্তুজা: অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া।