পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার

পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শামীম আহসান। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, সুইজারল্যান্ড
পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শামীম আহসান। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, সুইজারল্যান্ড

মানুষের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। মানবাধিকার নীতির যথাযথ প্রতিফলনের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ অবক্ষয়ের দরুন সংঘটিত বিভিন্ন সুদূরপ্রসারী প্রতিকূল পরিস্থিতি যেমন মানব বাস্তুচ্যুতি, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা, জীব বৈচিত্র্য হ্রাস ও বাস্তুসংস্থানের ব্যত্যয় সম্পর্কিত বিষয়গুলো মোকাবিলা করা সম্ভব।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বার্ষিক অনানুষ্ঠানিক আলোচনা সভায় ‘পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জেনেভার জাতিসংঘ দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান এ কথা বলেন।

সেনেগালের রাজধানী ডাকারে গতকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) পরিষদের বার্ষিক অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বর্তমান সভাপতি হিসেবে সেনেগাল এ বছরের অনানুষ্ঠানিক সভার আয়োজন করেছে।

দুই দিনব্যাপী (২১-২২ অক্টোবর) এই সভার আলোচনায় মূলত চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো: পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার; অভিবাসন ও মানবাধিকার; ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও ব্যবসায় সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে মানবাধিকার এবং তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মানবাধিকার।


রাষ্ট্রদূত আহসান তাঁর বক্তব্যে মানবাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে ২০০৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে গৃহীত মানবাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক প্রস্তাবের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার যোগসূত্র নির্ণয় ও এর প্রতিকারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করণীয় বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে।

তিনি মানবাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ও এর আওতাধীন প্রক্রিয়াগুলোকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধানের জন্য তিনি রাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমাজ, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দায়িত্বশীল ও সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার শীর্ষক এই প্যানেলে রাষ্ট্রদূত আহসান ছাড়াও অন্যদের মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেট ও জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচির (ইউএনইপি) আন্তর্জাতিক গভর্ন্যান্স ইউনিটের প্রধান মামাদৌ কেন বক্তব্য দেন।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের নির্বাচিত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এতে যোগ দিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত আহসান এই অনানুষ্ঠানিক সভায় ৪৭ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অন্যতম নির্বাচিত সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বিজ্ঞপ্তি