ম্যানিটোবায় বাংলাদেশিদের মিলনমেলা স্পন্দন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ম্যানিটোবা প্রদেশের মন্ত্রী রোচেল স্কোয়ারেস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেল এমপি টেরি ডুগাদ, স্থানীয় এমএলএ জন রয়েস ও সারা গুইল্লেয়ার্ড, সিটি কাউন্সিলর জেনিস লুকাস প্রমুখ। ছবি: লাবিব রানা
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ম্যানিটোবা প্রদেশের মন্ত্রী রোচেল স্কোয়ারেস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেল এমপি টেরি ডুগাদ, স্থানীয় এমএলএ জন রয়েস ও সারা গুইল্লেয়ার্ড, সিটি কাউন্সিলর জেনিস লুকাস প্রমুখ। ছবি: লাবিব রানা

শীত আসছে কানাডায়। দেশটির ম্যানিটোবা প্রদেশে তাপমাত্রা এখন প্রায় হিমাঙ্কের নিচে। এর মাঝে গত রোববার (২০ অক্টোবর) কানাডা-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (সিবিএ) উদ্যোগে ম্যানিটোবার রাজধানী উইনিপেগে হয়ে গেল বাংলাদেশিদের মিলনমেলা স্পন্দন। ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বেলা দুইটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। অতিথিরা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আসতে শুরু করেন। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেশি খাবার কিনে খাওয়ার পাশাপাশি চলতে থাকে নাচ, গান আর আড্ডা। বাংলাদেশি বিভিন্ন খাবারের স্টলে বিক্রি হয় বিরিয়ানি, পিঠা, বিভিন্ন রকমের মিষ্টি, দই, চা, মুড়ি ইত্যাদি।

অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা
অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা

ঠিক দুইটায় আয়োজক সংগঠনের সভাপতি নাসরিন মাসুদ অতিথিদের নিয়ে মঞ্চে ওঠেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ম্যানিটোবা প্রদেশের স্পোর্টস, কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ মন্ত্রী রোচেল স্কোয়ারেস। বিশেষ অতিথি ছিলেন উইনিপেগ সাউথের ফেডারেল এমপি টেরি ডুগাদ, স্থানীয় এমএলএ জন রয়েস ও সারা গুইল্লেয়ার্ড, সিটি কাউন্সিলর জেনিস লুকাস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা
অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা

সিবিএর সভাপতি অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেন। অতিথিরা বাংলাদেশিদের এই অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেন। তাঁরা জানান, ভবিষ্যতে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে তাঁরা যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করবেন।

জেনিস লুকাস জানান, আগামী শহীদ দিবসের আগেই উইনিপেগের ক্রিক ব্রিজ পার্কে শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ শুরু হবে। তিনি জানান, এই প্রকল্পে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ডলার খরচ হবে। এর মধ্যে ম্যানিটোবা সরকার দেবে ৪০ হাজার ডলার। উইনিপেগ সিটি গভর্নমেন্ট দেবে ৩০ হাজার ডলার। বাকি অর্থ স্থানীয় বাংলাদেশিরা দেবেন।

অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা
অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা

ফেডারেল এমপি টেরি ডুগাদ জানান, তিনি ফেডারেল সরকারের কাছে শহীদ মিনারের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। ফেডারেল সরকারও পরবর্তী সময়ে এগিয়ে আসবে।

শহীদ মিনার প্রকল্পের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল্লাহ কফি প্রকল্পে সাহায্য করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা
অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা

শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান, নাচ, নাটক, কৌতুক পরিবেশন করে ম্যানিটোবা বাংলা স্কুল, ম্যানিটোবা ড্যান্স ক্লাবের ছাত্রছাত্রীরা। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার শিক্ষার্থীরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর পাশাপাশি চলে দর্শকদের বিভিন্ন পর্ব।

ছুটির দিনে এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উইনিপেগ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা খুঁজে পেয়েছিলেন এক টুকরা বাংলাদেশকে।

অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা
অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা

অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি হেলাল মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতা রবিউল ইসলাম খান, মারুফ শাহরিয়ার, এস এম এ রানা, রেজা কাদির, সামিলাত কায়সার, প্রজেশ কুমার সাহা, মিশু ইসলাম, এ বি এম বদিউজ্জামান, সিলভিয়া সিকান্দার, রমিজ উদ্দিন, রাফি বেলাল, জুলিয়াস গোমেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা
অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: লাবিব রানা