বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত

আলোচনা ও মতবিনিময়ে বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন
আলোচনা ও মতবিনিময়ে বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ‘চ্যাম্পিয়নিং রিলিজিয়াস হারমনি: প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’স ভিশনারি ইনিশিয়েটিভস’ শীর্ষক এক আলোচনা ও মতবিনিময়ে বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ এ কথা বলেন।

গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ হাইকমিশনে এই আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা ও মতবিনিময়ে বক্তব্য দিচ্ছেন হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন
আলোচনা ও মতবিনিময়ে বক্তব্য দিচ্ছেন হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন

শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকারের যথার্থ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে আজ সর্বধর্মের মানুষের সহাবস্থান সুনিশ্চিত হয়েছে।

শেখ মো. আবদুল্লাহ আরও বলেন, বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অনুযায়ী সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

আলোচনায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করা হলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ঘোলা পানির মধ্যে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সত্যিকারের আলেম-ওলামাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বড় শক্তি মনে করেন। তাঁর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সব ধর্মের মানুষ যাতে পূর্ণ স্বাধীনতার মাধ্যমে যার যার ধর্ম পালন করতে পারে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। সব ধর্মের মানুষকেই সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আর এটাই হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। কিন্তু এখনো কেউ কেউ ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টির অপব্যাখ্যা করছেন।

অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে, সে আদর্শ সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্যে কাজ করছে এবং আজকের এই অনুষ্ঠান তারই ধারাবাহিকতার একটি অংশ।

সাইদা মুনা তাসনীম যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের এই ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করার জন্য বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের প্রতিনিধিত্বকারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর নেতাদের বিশেষ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

আলোচনা ও মতবিনিময়ে উপস্থিতির একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন
আলোচনা ও মতবিনিময়ে উপস্থিতির একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন

অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম আবদুল্লাহ নুরী পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সরকার–গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

আলোচনায় লন্ডন, বার্মিংহামসহ দেশটির বিভিন্ন শহরের মসজিদের বাংলাদেশি-ব্রিটিশ ইমাম ও মাওলানা এবং ব্রিকলেন জামে মসজিদ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ইউনিটি, সেক্যুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান কমিউনিটি, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট কমিউনিটি, ইউনাইটেড হিন্দু কালচার অ্যাসোসিয়েশন, ওম শাস্তি অ্যাসোসিয়েশন, সর্বজনীন বাবা লোকনাথ অ্যাসোসিয়েশন, ব্রিকলেন ফিউনারেল সার্ভিস ও হজসংক্রান্ত ট্রাভেল এজেন্টের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

তাঁরা সর্বধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রথমবারে মতো এ রকম সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।