লিসবনে কূটনীতিক বাজারে বাংলাদেশ

পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দ্য সওজা বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। ছবি: নাঈম হাসান
পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দ্য সওজা বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। ছবি: নাঈম হাসান

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের অংশগ্রহণে হয়ে গেল দুই দিনব্যাপী কূটনীতিক মেলা (বাজার ডিপ্লোম্যাটিকো ২০১৯)।

লিসবনে কংগ্রেস সেন্টারে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী (১৫ ও ১৬ নভেম্বর) এই মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ প্রায় ৪০টি দেশের দূতাবাস।

আন্তর্জাতিক কূটনীতিক বাজারে অংশগ্রহণকারী সব দেশ তাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, খাবারসহ নিজেদের দেশকে তুলে ধরে। স্থানীয় পর্তুগিজ নাগরিকেরা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা এই মেলা পরিদর্শন করেন।

মেলায় শাড়ি, গামছা, শিকাসহ দেশীয় ঐতিহ্যবাহী উপকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ আদলে সাজানো হয় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। দেশীয় ঐতিহ্য ও হস্তশিল্প বিশেষভাবে তুলে ধরা হয় সেখানে। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে মসলিন, জামদানি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর তাঁতশিল্পকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়। এসব পরিচিত করার জন্য পর্তুগিজ ও ইংরেজি ভাষায় স্যুভেনির প্রকাশ করে বাংলাদেশ দূতাবাস।

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দর্শক। ছবি: নাঈম হাসান
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দর্শক। ছবি: নাঈম হাসান

প্যাভিলিয়নে ছিল দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক, মুক্তা ও অন্য গয়না, নারীদের ব্যাগ, মসলিনের টেবিল ক্লথ, হাতের সেলাইয়ের কাজসহ অন্য হস্তশিল্পজাত পণ্য। পর্তুগিজ ও অন্য দেশের নাগরিকেরা বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আসেন এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি পণ্য দেখেন। সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসী বাংলাদেশি শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী কে এম মোস্তফা আনোয়ার।

কূটনীতিক বাজার উদ্বোধন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দ্য সওজা। তিনি পরে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁকে অভ্যর্থনা জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী। তিনি রুপার তৈরি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি নৌকা তাঁকে উপহার হিসেবে তুলে দেন।

পর্তুগিজ ডিপ্লোম্যাট অ্যাসোসিয়েশন পরিবারের পরিচালক ম্যানুয়েলা কারামুজো জানান, এবারের কূটনীতিক বাজার ৩৫তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মূলত সুবিধাবঞ্চিত ও বিরল রোগে আক্রান্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রতিবছর এই কূটনীতিক বাজারের আয়োজন করা হয়।