প্যারিসে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সেমিনার
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সেমিনার।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে প্যারিসের স্থানীয় একটি হোটেলে ১৬ নভেম্বর বিকেলে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বিগত এক দশকে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন, বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্র ও বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসমূহ তুলে ধরা হয়।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন। এ ছাড়া বেজার নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।
সেমিনারে বেজার কার্যক্রম, অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রদত্ত বিশেষ সুবিধা ও প্রণোদনাসমূহ এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সম্পর্কে আলোচনা করেন বেজার মহাব্যবস্থাপক মো. সোহেলুর রহমান চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পবন চৌধুরী গঠনকাল থেকে বেজার কার্যক্রম এবং বিগত বছরসমূহে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমুখী পদক্ষেপের ফলে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের যে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। ইতিমধ্যে যেসব বিনিয়োগ প্রকল্প চলমান রয়েছে, সে বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করে তিনি ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত অতিথিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন ও তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেন। প্রশ্নোত্তরকালে মো. হারুনুর রশিদ বেজায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আর্থিক ও অ–আর্থিক প্রণোদনাসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তা উল্লেখ করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ব্যবসা ও বিনিয়োগের যেকোনো ধরনের তথ্য বা সহযোগিতা প্রদানের প্রথম ওয়ান স্টপ সার্ভিস হলো বাংলাদেশ দূতাবাস।
তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা ও বিনিয়োগে আগ্রহী ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সার্বিক সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া সরকারি মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রদানের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ প্রণোদনা প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। বিজ্ঞপ্তি