নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিজয় দিবস উদ্যাপন
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৪৮তম বার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে উদ্যাপন করেছে নাইজেরিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন।
দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় আবুজায় হাইকমিশন ভবনে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৭৭৫ সালে শাহাদতবরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যসহ সব শহীদের রুহের মাগফিরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশ হিসেবে হাইকমিশন মিলনায়তনে সন্ধ্যায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং জাতির পিতাসহ সব শহীদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে জাতির পিতার বর্ণাঢ্য জীবন ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার শামীম আহসান বিজয় অর্জনে জাতির পিতার অবিস্মরণীয় অবদানসহ মুক্তিযোদ্ধা ও অত্যাচারিত মা-বোনদের ত্যাগের কথা তুলে ধরেন। ভারত, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নসহ অন্য বিদেশিদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্বাধীনতাযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের কথাও তুলে ধরেন।
মো. শামীম আহসান বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ২০২১ সালের মধ্যে শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকী (মুজিব বর্ষ) এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে হাইকমিশনের কর্মপরিকল্পনার কথা সবাইকে অবহিত করেন।
আলোচনা সভায় নাইজেরিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে প্রশিক্ষণরত ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিতেন্দ্র সিং বক্তব্য দেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অনুকরণীয় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পরে হাইকমিশনার বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের তালিকা সংবলিত Liberation War: Friends of Bangladesh বইয়ের কপি জিতেন্দ্র সিং ও ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে নেপালের প্রশিক্ষণার্থী কর্নেল বাহাদুর সাপকোতাকে উপহার দেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় অতিথি, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে প্রশিক্ষণরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার, প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সপরিবার উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি