চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদ্যাপন
‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা’ বাঙালির জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় অর্জন ও সব অনুপ্রেরণার উৎসভূমি। সুদীর্ঘকালের ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও নিপীড়নের ক্ষত না মুছতেই পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালির ওপর চেপে বসা পশ্চিম পাকিস্তানের চরম নৈরাজ্যময় (১৯৪৭-১৯৭১) আঘাত স্বাভাবিকভাবেই বাঙালি জাতিকে সংগ্রামময় দূরদৃষ্টি ও গৌরবময় ভবিষ্যৎ ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ কল্পনায় এনে দিয়েছিল।
বাঙালির জাতীয় জীবনে অপরিমেয় ত্যাগ, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও সংগ্রামের গৌরবময় ফসল ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা।
৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এবং ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের আর্তনাদের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সবুজ বাংলাদেশের আকাশে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য উদিত হয়েছিল। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছিল আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে চীনের ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল গবেষকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যান্ড স্কলারস অ্যাসোসিয়েশনের সার্বিক সহযোগিতায় এবং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও তাঁদের পরিবারবের সদস্যদের একসঙ্গে দুপুরের খাবার গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নির্দিষ্ট স্থানে সমবেত হয়ে বাংলাদেশের লাল-সবুজের ছোট-বড় পতাকা নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। প্রবাস জীবনে বিজয় দিবস উদ্যাপনের জন্য সবাই অন্য রকম আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
শেষে মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও দেশের মানুষের আগামী দিনের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
–––
মোহাম্মাদ আনিসুর রহমান: পিএইচডি গবেষক, ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি, চীন।