বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ

আলোচনা অনুষ্ঠান। ছবি: বাংলাদেশ কনস্যুলেট, ইস্তাম্বুল
আলোচনা অনুষ্ঠান। ছবি: বাংলাদেশ কনস্যুলেট, ইস্তাম্বুল

মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির লক্ষ্যে শোষকদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আজীবন লড়াই করেছেন, যা বিশ্ববাসীর কাছে সর্বদা একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ এবং বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্‌যাপন ও তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনায় তুর্কি অতিথিরা এ মন্তব্য করেন।

গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও ইস্তাম্বুলের তুর্কি সাংবাদিক আহমেদ চস্কুনাইদিন, টিভি সংবাদ উপস্থাপিকা ডেরিয়া আলটে ও স্থানীয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আহমেদ চস্কুনাইদিন ও ডেরিয়া আলটেকে তুর্কি ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত জীবনী’ উপহার দেওয়া হয়। ছবি: বাংলাদেশ কনস্যুলেট, ইস্তাম্বুল
অনুষ্ঠানে আহমেদ চস্কুনাইদিন ও ডেরিয়া আলটেকে তুর্কি ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত জীবনী’ উপহার দেওয়া হয়। ছবি: বাংলাদেশ কনস্যুলেট, ইস্তাম্বুল

উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে আহমেদ চস্কুনাইদিন ও ডেরিয়া আলটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের সাফল্য কামনা ও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ উদ্‌যাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও সুসংহত হবে। তাঁরা বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও ভূমিকার ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে উপরিউক্ত মন্তব্য করেন।

স্বাগত বক্তব্যে ইস্তাম্বুলে নিয়োজিত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ঐতিহাসিক পটভূমি ও গুরুত্ব বর্ণনা করে বলেন, এ বছরের ১০ জানুয়ারি জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের ক্ষণগণনার দিন হিসেবে নির্ধারিত হওয়ায় দিবসটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ ও মহিমান্বিত হয়ে উঠেছে।

মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, মুজিব বর্ষ শুধু একটি উদ্‌যাপনই নয়, এর মধ্য দিয়ে একাধারে যেমন বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে, অন্যদিকে তা বিশ্ববাসীর কাছে বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন ও কর্ম উপস্থাপনের সুযোগ তৈরি করবে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ কনস্যুলেট, ইস্তাম্বুল
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ কনস্যুলেট, ইস্তাম্বুল

মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে মিশন কর্তৃক গৃহীত অনুষ্ঠানমালা তুলে ধরেন এবং তা সফল করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে আহমেদ চস্কুনাইদিন ও ডেরিয়া আলটেকে তুর্কি ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত জীবনী’ উপহার দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি