সিউলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা

আলোচনা অনুষ্ঠান। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল
আলোচনা অনুষ্ঠান। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল

দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার শুভ সূচনা ও উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্‌যাপন করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ক্ষণগণনার শুভ সূচনা ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্‌যাপন করা হয়।

এ উপলক্ষে দূতাবাসে দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্ত আলোচনায় আলোচকেরা জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তাঁরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, আসন্ন মুজিব শতবর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি জনগণ বিশেষত তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে অবহিত হওয়ার অনন্য সুযোগ ও দেশের উন্নয়নে নিয়োজিত হওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে।

দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। দেশের ভেঙে পড়া যোগাযোগব্যবস্থা পুনর্নির্মাণসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নয়নের সূচনা করেন। সেই সঙ্গে বিশ্বদরবারে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠান। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল
আলোচনা অনুষ্ঠান। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার। তাঁর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। তিনি আজীবন এই লক্ষ্যেই কাজ করে গেছেন।

আলোচনার পর জাতির জনকের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও তাঁর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার শুভ সূচনা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

উপস্থিতির একাংশ।  ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল
উপস্থিতির একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি