করোনাভাইরাস: কতটুকু প্রস্তুত বাংলাদেশ

চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। ছবি: এএফপি
চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। ছবি: এএফপি

এই লেখা যখন লিখছি, চীনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এক শ ছাড়িয়েছে। কোথায় গিয়ে থামে তার কোনো ঠিক–ঠিকানা নেই। চীন সরকার প্রথম দিকে উদ্যোগ নিতে একটু দেরি করলেও এখন এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা সম্মিলিতভাবে এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। হুবেই প্রদেশের সব শহর আক্ষরিক অর্থেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব খবর আপনারা সংবাদমাধ্যমে সব সময় পাচ্ছেন।

আমার আজকের এই লেখা অন্যদিকে দৃষ্টিপাত করতে। চীনের মতো এত উন্নত দেশ যদি এত হিমশিম খায়, আল্লাহ না করুক, বাংলাদেশে যদি এমন কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ হয় তাহলে কী অবস্থা হবে। ডেঙ্গু নিয়ে যা দেখেছি, অবস্থা খুব একটা সুবিধাজনক ঠেকছে না।

আমাদের দেশে না আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়াগনোসিস করার ব্যবস্থা, না আছে প্রশিক্ষিত জনবল। হাসপাতালগুলোর অবস্থা আমরা কমবেশি সবাই জানি। ইনফেকশন প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এসব ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত ব্যবস্থার কথা না–ই বললাম।

স্বাস্থ্যবিষয়ক দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের এ ব্যাপারে প্রস্তুতি কী? কোনো প্রতিরোধব্যবস্থা আছে নাকি স্বীকার করতে করতেই ডেঙ্গুর মতো অবস্থা হাতের বাইরে চলে যাবে?

এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন চিকিৎসক ও হাসপাতালের অন্য কর্মীরা। তাঁদের প্রোটেকশনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি আমার জানা মতে। এসব ব্যাপারে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। একবার যদি আক্রান্ত হয়ে পড়ি আমরা, এই দেশ মৃত্যুপুরি হয়ে যাবে। তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ছাড়া উপায় নেই। প্রতিরোধ প্রতিকারের চেয়ে সব সময় উত্তম।
–––

মোকাররম আলাভী: এমডি নিউরোলজি (অধ্যয়নরত), ইয়াংজু ইউনিভার্সিটি, জিয়াংসু, চীন।