জেদ্দায় পৌষের পিঠা উৎসব

উৎসবে পিঠা। ছবি: বাহার উদ্দিন
উৎসবে পিঠা। ছবি: বাহার উদ্দিন

ঘরকুনো বাঙালির অনেকে এখন ঘরের বাইরে। আপন দেশ ছেড়ে পরবাসে। হোক না পরবাস। যেখানেই বসবাস সেখানেই উৎসব। বাঙালিয়ানা ষোলো আনা।

বারো মাসে তেরো পার্বণের ঐতিহ্যে লালিত বাঙালি পরবাসেও আপন সংস্কৃতি লালনে উৎসবমুখর। সৌদি আরবে রয়েছে লাখো বাঙালির পদচারণ। যেন একচিলতে বাংলাদেশ। স্বদেশ-সংস্কৃতি লালনে স্বদেশপ্রেমী বাঙালিরা দেশটির জেদ্দায় গড়ে তুলেছেন একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। নাম বাংলাদেশ কালচারাল ফোরাম।

এ সংগঠনের উদ্যোগে গত শুক্রবার বিকেলে জেদ্দার বহুল পরিচিত বিনোদনকেন্দ্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মানে ও প্রবাসে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে পৌষের পিঠা উৎসব। আয়োজনে আরও ছিল নানা সামগ্রীর স্টল, শিশুদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

উৎসবে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার–পরিজনসহ অংশ নেন। উৎসবকে ঘিরে মেতে থাকে প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরেরা। ছিলেন কয়েকজন বিদেশিও।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ছবি: বাহার উদ্দিন
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ছবি: বাহার উদ্দিন

স্টলে স্টলে ছিল ভাপা, দুধচিতই, চুই, নকশি, মালপোয়া, পাটিসাপটা, খেজুর রসের পিঠা, ফুলঝুরি, মুগডালের নকশি, প্রাণহরা, চুকটি, জামদানি, খোলা চিতই, কুলি, দুধপুলি, সুন্দরী পাকান, বকুল পিঠা, বউ-জামাই পিঠাসহ বাহারি স্বাদ ও নকশার হরেক রকমের পিঠা।

পিঠা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী পেয়েছেন একটি সোনার কয়েন। দ্বিতীয় স্থান অধিকারী একটি মাইক্রোওভেন ও তৃতীয় স্থান অধিকারী একটি রাইস কুকার। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সংগঠনের নেতারা।

শেষে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে শুভেচ্ছা ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করে।