বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন শুধু রাজনীতি ছিল না, এখানে অর্থনীতিও জড়িত ছিল। বাংলাদেশের মানুষ তখন বুঝতে পেরেছিল তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রয়োজন। এ সময়েই ঘটে বাঙালির আত্মবিকাশ। যার ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রামের পথ বেয়ে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনায় এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার। তিনি তাঁর বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনে শহীদ, ভাষা আন্দোলনের সব অংশগ্রহণকারীসহ ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা গভীরভাবে স্মরণ করেন।
একুশের চেতনায় সম্মিলিতভাবে দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মাদ্রিদের বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বাংলাদেশ দূতাবাসে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন ও গীতা থেকে পাঠ করা হয়। পরে ভাষাশহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
দূতাবাসের মিনিস্টার ও দূতাবাস উপপ্রধান হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় একুশের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাস উপপ্রধান হারুন আল রশিদ, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব (শ্রম) মুতাসিমুল ইসলাম ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দ্বিতীয় সচিব মিস তাহসিনা আফরিন শারমিন।
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। আলোচনা সভায় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারাসহ মাদ্রিদে বসবাসরত সব শ্রেণি–পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি