দশ দিগন্তে চেতনার সাত রং

মাতৃভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও দেশপ্রেমের চেতনা বুকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
মাতৃভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও দেশপ্রেমের চেতনা বুকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

মাতৃভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও দেশপ্রেমের চেতনা বুকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজন করে এ অনুষ্ঠান।

উল্লেখ্য, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে দিবসটি পালনের জন্য কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছিল বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপনে আন্তরিক উদ্যোগের ঘোষণা দেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে সব ভাষাভাষীর ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণের অনুরোধ করে।

ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর টড ওয়াকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে।

স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা শাফি।

অনুষ্ঠানে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালির গৌরবময় আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদ্‌যাপনের প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ভাষাশহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতা, দেশপ্রেম ও চেতনায় তাঁর মুগ্ধতা প্রকাশ করেন এবং আগামীতে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি এ দিবস যথাযথভাবে পালনের ঘোষণা দেন।

স্বদেশের মর্যাদা ও মাতৃভাষার সম্মান সমুন্নত রাখার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান।