টরন্টোয় ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে কানাডার টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট। ২৩ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

টরন্টোভিত্তিক বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, আলম-পিয়া স্কুল অব মিউজিক, বাচনিক ও কনস্যুলেটের সদস্যরা দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপহার দেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

তাঁদের পরিবেশনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাসংগ্রাম পর্যন্ত বাংলাদেশের গৌরবময় ও কষ্টসাধ্য অভিযাত্রা চিত্রিত হয়েছে।

ওন্টারিও প্রদেশ সরকারের কর্মকর্তা, টরন্টোভিত্তিক বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, আওয়ামী লীগের টরন্টো শাখার নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশি ডায়াসপোরা কমিউনিটি, কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

বঙ্গবন্ধু, ভাষাশহীদ ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়। পরে কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীগুলো পড়ে শোনান।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

স্বাগত বক্তব্য দেন টরন্টোয় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ও ভাষা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতার পথ সুগম করেছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব, ভাষাশহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অমূল্য অবদান এবং আমাদের স্বাধীনতার পুরো যাত্রায় ৩০ লাখ শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

কনসাল জেনারেল সব বাংলাদেশি নাগরিককে ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও ভাষাশহীদদের সর্বোচ্চ ত্যাগকে সম্মান জানিয়ে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি প্রচারের জন্য আহ্বান জানান। তিনি টরন্টো ও কানাডার অন্য প্রদেশের বাংলাদেশি প্রবাসীদের কানাডায় বাংলা ভাষার প্রচার ও বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে তাঁদের অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।

নাঈম উদ্দিন আহমেদ বিশেষত নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এবং তাদের আরও ভালোভাবে ও শুদ্ধভাবে বাংলা শেখা ও কথা বলার জন্য উৎসাহ দেওয়ার আহ্বান জানান। কনসাল জেনারেল সব বাংলাদেশি নাগরিককে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির জনকের স্বপ্নের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন
কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন

এর আগে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কনসাল জেনারেল বাংলাদেশ ডায়াসপোরা কমিউনিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ হাউসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এ ছাড়া বাণীসমূহ পাঠ এবং জাতির জনক, তাঁর পরিবারের সদস্য, ভাষা আন্দোলনে শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে নাঈম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা হয়। বিজ্ঞপ্তি