থমকে যাওয়া জীবন, মৃত্যুর আলিঙ্গনে ৬

যখন বরফ গলতে শুরু করে, তখন কখনো গরম, কখনো ঠান্ডা। সারা দিন রৌদ্র রা মেঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে। হয়তো আজ আলোঝলমল সোনালি রোদ্দুর, পরদিন দেখা গেল সূর্যের আলোরা গুমোট অভিমানে লুকিয়ে পড়েছে মেঘের আড়ালে। রাস্তা, মাঠ, লেকের পাড় বরফ গলে স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে।

এই না ঠান্ডা না গরম সিজনে বিভিন্ন ভাইরাস ভেসে বেড়ায় বাতাসে। সে রকমই কোনো এক ভাইরাস আমার শরীরে বাসা বেঁধেছে। এক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড ঠান্ডা, কাশি, গলাব্যথা, শরীরব্যথা। ভীষণ ভীষণ ক্লান্ত শরীর। গত কয়েক বছরে এমন শারীরিক কষ্ট কখনো বুঝতে পারিনি।

বাসায় আমি একা। বুঝতে পারছি না কী করব। প্যারাসিটামল খেয়েও তেমন কাজ হচ্ছে না। তবে মন্দের ভালো, শরীরে তেমন জ্বর নেই। মনে মনে ভাবি, এটি করোনাভাইরাস না তো? মনের মধ্যে সন্দেহ দানা বেঁধেই থাকে। পত্রিকা ঘেঁটে লক্ষণ মেলাই। অনেক লক্ষণই মিলে যায় করোনার সঙ্গে। বন্ধুরা অনেকেই বলছে ডাক্তার দেখাতে। আবার এটিও বলছে, ‘করোনা কোথা থেকে হবে? আপনি তো করোনা রোগীর সাক্ষাৎ পাননি।’ এই প্রভিন্সে চারজন করোনা-আক্রান্ত রোগী ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে একজন এই শহরে। কমিউনিটি সংক্রমণ এখনো হয়নি। তাই এখনো আমরা নিজেদের নিরাপদই ভাবছি। তবুও মনের ভয়, অনিশ্চয়তা মানুষকে কাবু করে ফেলে।


বিষণ্ন মনে ইন্টারনেট ঘেঁটে তথ্য বের করি। এই ফ্লু জাতীয় রোগে কী করতে হবে, কিংবা আমাকে কোনো টেস্ট করাতে হবে কি না, হয়তো বলবে। ওখানে দেখলাম ৮১১-এ ফোন করতে বলা হচ্ছে। বেশ কবার ফোন করেও পেলাম না। ফোনের লম্বা ওয়েটিংয়ে না থেকে, ভয়েস মেসেজে আমার ফোন নম্বর রাখলাম। ভাবলাম, ওরা কি আর ফোন করবে? কত ব্যস্ত এই সময়ে, কানাডার ডাক্তার আর নার্সেরা।

সন্ধ্যার দিকে ফোন এল, ‘আমি হেলথ লাইনের নার্স, কেমন আছো তুমি? তোমার কি অ্যাম্বুলেন্স লাগবে?’ ভীষণ মিষ্টি, মধ্যবয়সী নারীর কণ্ঠ।
‘না, আমি অত খারাপ নই।’ বললাম একটু হেসে।
‘কী হয়েছে বলো?’
বললাম, ‘প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা, কাশিতে ভুগছি।’
‘জ্বর আছে? শ্বাসকষ্ট?’
‘না জ্বর নেই তেমন। দুদিন জ্বর জ্বর ছিল, এখন আর নেই।’
‘থার্মোমিটার আছে? মেপে বলো। আমি লাইনে আছি।’
একটু আলসেমি লাগছিল, তার পরও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার খুঁজে বের করলাম থার্মোমিটার। জিহ্বার নিচে ঢুকিয়ে দেখে বললাম, ‘আটানব্বই।’
তাহলে তো জ্বর নেই।
এরপর শুরু হলো প্রশ্ন-উত্তর পর্ব।
‘তুমি বিদেশ থেকে এসেছ? বিদেশফেরত কারও সঙ্গে মিশেছ?’ ইত্যাদি।
‘তোমার কি অসুখ আছে? তোমার ডায়াবেটিস আছে? কী কী ওষুধ খাও?’
এরপর আরও অনেক প্রশ্ন। তবে অনেক সৌজন্য আর আন্তরিকতা নিয়ে। মনে হচ্ছিল, সে আমার কত দিনের চেনা আর কত আপন। তাই প্রশ্নের উত্তরে বিরক্ত না হয়ে বরং একটু ভীষণ রিলিফই লাগছিল। সে আবার একটু টোটকা চিকিৎসাও করল—
‘গরম পানি, আদা আর মধু দিয়ে একটু চা বানিয়ে খেতে পারো। সুগার চেক করবে তিন বেলা। আর কিছু জানতে চাও?’
আমি একটু ইতস্তত করে বললাম, ‘আমি কি রান্না করতে পারব?’
‘কেন, তুমি একা থাকো?’ সে বেশ উৎকণ্ঠা নিয়েই প্রশ্ন করল।
‘না, আমি আর আমার স্বামী। মানে আমার রান্না করা খাবার কি আমার স্বামী খেতে পারবে?’
‘তুমি কেন রাঁধবে? তুমি অসুস্থ। তোমার স্বামীকে বলো রান্নাসহ ঘরের সব কাজ করতে। দরকার না হলে রান্না ঘরে যাবে না। বাসায় রুম থাকলে আলাদা রুমে থাকো।’

আমি মনে মনে একটু খুশিই হলাম। অন্তত আর যা-ই হোক, রান্নাঘরের কাজ থেকে মুক্ত হলাম। এজাজকে এক্ষুনি বলতে হবে, ‘শোনো, নার্স বলেছে আমি যেন রান্নাঘরে না যাই।’

ছবিতে কালো গেঞ্জি পরা মেয়েটা ক্যালন ইটন। একসময় সহকর্মী ছিলেন লেখকের। প্রচণ্ড মেধাবী মেয়েটি এখন নার্স হিসেবে কাজ করছে সাসকাচুয়ানের একটি হাসপাতালে। ছবি: লেখক
ছবিতে কালো গেঞ্জি পরা মেয়েটা ক্যালন ইটন। একসময় সহকর্মী ছিলেন লেখকের। প্রচণ্ড মেধাবী মেয়েটি এখন নার্স হিসেবে কাজ করছে সাসকাচুয়ানের একটি হাসপাতালে। ছবি: লেখক

তবে ভয় থেকেই যায়, প্রশ্ন করি, ‘আমার কি কোভিড-১৯ হয়েছে? আমার ভীষণ ভয় লাগছে।’
সে হাসল, ‘তুমি যেহেতু বিদেশফেরত কারও সংস্পর্শে যাওনি, তোমার লক্ষণগুলোও বলে না তোমার কোভিড-১৯।’
‘তিন দিনের মধ্যে তোমার পারিবারিক ডাক্তারের কাছে যাবে। শরীরের যত্ন নেবে কিন্তু। তোমার স্বামীকে বলবে সে যেন তোমার যত্ন নেয়, তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। তুমি কি আর কিছু জানতে চাও? অন্য কোনো সাহায্য? যদি সাহায্য লাগে, তাহলে অবশ্যই ফোন করবে।’

আমি যখন ফোন রাখলাম, মনে হচ্ছিল আমি ভালো হয়ে গেছি। সেই অচেনা নার্স, যাকে আমি দেখিনি, কী ভীষণ মমতায়, আন্তরিকতায় আমার মন আর শরীরের চিকিৎসা করে ফেলল। কোনো বিরক্তি নেই, কী ধৈর্য নিয়েই প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রোগীর মানসিক প্রশান্তি আর মনোবল বাড়িয়ে দেয় এরা।

এখানে না বললেই নয়, আমার কাছে এ দেশের নার্সদের হাফ ডাক্তার মনে হয়। ওরা এত কিছু জানে, এত কনফিডেন্ট নিয়ে কথা বলে আর এত চমৎকার সৌজন্য। তাদের কণ্ঠে থাকে ভীষণ আন্তরিকতা, মনে হয় আমার সবচেয়ে বড় শুভানুধ্যায়ী। রোগীর অর্ধেক অসুখ এমনিই ভালো হয়ে যায় ওদের মানসিক থেরাপিতে।
এ দেশে নার্সিং অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা। বেতনও অনেক বেশি। রোদেলার নাচের শিক্ষক নেপালি মেয়েটি নার্সিং পড়ছে শুনে একদিন অবাক হলাম। কারণ যারা অভিবাসী, তারা যত সম্মানজনকই হোক না কেন, তাদের সন্তানকে নার্স বানাবে না।

আমাকে অবাক করে দিয়ে রোদেলা বলল, ‘জানো মা, ওর বাবা ক্যানসার বিশেষজ্ঞ।’
আমি চোখ বড় বড় করে বললাম, ‘ক্যানসার বিশেষজ্ঞের মেয়ে নার্স হবে, আমরা বাঙালিরা তো ভাবতেই পারি না।’
‘কেন মা?’
‘কারণ নার্সিং পেশাকে আমাদের দেশে মর্যাদা দেওয়া হয় না। একটু অবমূল্যায়নই করা হয়। সামাজিক মর্যাদার সঙ্গে যায় না।’

কানাডায় বড় হওয়া মেয়ে শ্রেণি-বৈষম্য বোঝে না। তার জীবনের প্রথম চাকরিটি ছিল ওয়েটারের। কোনো কাজ যে অসম্মানের হতে পারে, সে এটা বুঝবে না। তাই আমি আর তার সঙ্গে কথা বাড়াই না।
বিষণ্নতা দূর হয়ে গেছে। ভীষণ রকম প্রশান্তি, আর ভালো লাগা নিয়ে ঘুমাতে গেলাম সে রাতে। সেদিন চমৎকার ঘুম হলো। সকালে ঘুম থেকে উঠে ডাইনিং টেবিলের কোনায় বসেছি চায়ের কাপ নিয়ে। নিজের হাতে বানানো দুধ চা। ঘন দুধে গাঢ় লিকারের চা। চমৎকার রং হয়েছে। চায়ে চুমুক দিতেই যেন প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। আমি বসে আছি আমার ডাক্তারের ফোনের জন্য। করোনার জন্য সব পারিবারিক ডাক্তার এখন ফোনে রোগীর চিকিৎসা করেন। আমাকে বলা হয়েছে সকাল ১০টায় আমার পারিবারিক ডাক্তার মিচেল ফোন করবে। ১০টা মানেই ১০টা। সে ফোনে ভীষণ প্রাণবন্ত ভরা কণ্ঠে বলল, ‘কেমন আছো ভিকারুন? তোমার শরীর কেমন বলো তো?’
হঠাৎ করে যেন মনে হলো আমার শরীরে শক্তি ফিরে এসেছে, ভীষণ রকম ভালো লাগা নিয়ে বললাম, ‘ভালো আছি। তুমি ভালো আছো?’

‘হ্যাঁ, ভালো। কী সমস্যা? তোমার ফাইলে দেখলাম, কাল রাতে নার্সকে ফোন করেছিলে।’ এ দেশের কম্পিউটারে রোগীর ডেটাবেজে সব ইতিহাস লেখা থাকে। রোগীর ফাইল খুলে ডাক্তার সেটি প্রথম দেখে।
‘হ্যাঁ, আমার সপ্তাহ ধরে জ্বর, কাশি, তাই ভেবেছি কোভিড হলো না তো! ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।’
সে হাসল দারুণ করে। ফোনের ওপাশে ওর হাসি আমাকেও আলোড়িত করে, মন ছুঁয়ে যায়।

‘তোমার রোগের ইতিহাস পড়ে কোভিড মনে হচ্ছে না।’
‘অনেক কিছুই তো মিলে যাচ্ছে ডাক্তার মিচেল। ফ্লুর সঙ্গে কোভিডের কিছু মিল আছে।’
সে আবারও হেসে নরম সুরে বলল, ‘তবে বাসায়ই থাকো। দরকার না হলে বাইরে বের হোয়ো না। পারলে আলাদা রুমে থাকো, আলাদা বাথরুম।’
এরপর সে আরও অনেকক্ষণ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে বলল, ‘তোমার মনে হয় বাজে ফ্লু হয়েছে। তুমি ভিটামিন সি খাও। গরম পানি খাও আর রিল্যাক্স। ঘুমাও ভালো করে, যতক্ষণ পারো। ৫০০ মিলিগ্রামের টাইনরেল (প্যারাসিটামল) খেতে পারো।’

‘আমি এত দিন ধরে ভুগছি, আমাকে একটু অ্যান্টিবায়োটিক দাও না। আমার ভীষণ ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।’ কণ্ঠে বেশ আকুতি নিয়েই বললাম।
ডাক্তার আবারও হাসল। এ দেশে ডাক্তাররা রোগীকে সম্মান করে, রোগীকে সব সময় সন্তুষ্ট করতে চায়। সে অত্যন্ত নরম সুরে, মিষ্টি করে বলল, ‘টাইনোরেল খেলেই ভালো হয়ে যাবে। যদি খারাপ লাগে অবশ্যই ইমার্জেন্সি ডাক্তারকে ফোন করবে। ভালো না হলে তিন দিন পর ওয়াকিং ক্লিনিকে যাবে। এই মুহূর্তে অ্যান্টিবায়োটিকে না যাই, কেমন?’
তো এই হলো কানাডিয়ান ডাক্তার। কোনোভাবেই টাইনোরেলের বেশি যাবে না, যতই তাদের অনুরোধ করা হোক, হাতে-পায়ে ধরা হোক না কেন। আমরা অভিবাসীরা অ্যান্টিবায়োটিক খুব ভালোবাসি। প্রথম দিকে খুব হতাশ হতাম। এখন আর হই না। এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।
আমার ভালো লাগছিল এই ভেবে যে আমার কোভিড-১৯ হয়নি। এই যাত্রায় হয়তো বেঁচে গেলাম। ভীষণ মন ভালো নিয়ে এজাজকে বললাম, ‘আচ্ছা এই দেশের ডাক্তার, নার্স সম্পর্কে তোমার মূল্যায়ন কী?’
এজাজ গোঁফের নিচে বিখ্যাত হাসি নিয়ে বলল, ‘কানাডায় সুন্দরী মেয়ে বিয়ে কিংবা সামাজিক স্ট্যাটাস বাড়ানো অথবা টাকা-পয়সা কামানোর জন্য কেউ ডাক্তার হয় না। ডাক্তার হয় মানবিক কারণে।’

সাসকাচুয়ান নদীর তীরে ভাইবোনের সঙ্গে লেখক। ছবি: সংগৃহীত
সাসকাচুয়ান নদীর তীরে ভাইবোনের সঙ্গে লেখক। ছবি: সংগৃহীত

আমি হাসলাম, হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়লাম চেয়ারে। চায়ের কাপ থেকে চা ঝলকে পড়ল আমার রাতে পরা ম্যাক্সির ফুলের ডিজাইনে।
‘ফাজলামো ছাড়ো, ঠিক করে বলো, এ দেশের ডাক্তার আর স্বাস্থ্যব্যবস্থা কেমন?’
সে কম্পিউটারে টাইপ করছিল। চোখ তুলে তাকাল, ‘প্রথম কথা, রোগী-ডাক্তারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। কারণ সরকার ডাক্তারের ফিস দেয়, ঘণ্টা হিসাবে। তাই ডাক্তার রোগীকে দেখে প্রচুর সময় নিয়ে, মনোযোগ দিয়ে শোনে তাদের কথা। ব্যাখ্যা করে বলবে অসুখ সম্পর্কে।
আমি হেসে প্রশ্ন করলাম, ‘আর?’

‘আর? তাদের সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। ভুল করলে লাইসেন্সের অর্থ বেড়ে যায়, কিংবা লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়।’
এজাজ ভালো বক্তা আগে থেকেই, ওকে টক শোতে পাঠানো যায় কি না, ভেবে মনে মনে চমৎকৃত হলাম।
‘লম্বা বক্তব্য দিলেন স্যার, দ্বিতীয় কারণ বলো।’

সে আবার কম্পিউটারে চোখ রেখে বলল, ‘ওরা টাকার জন্য নয়, ভালো ছাত্র বলে নয়, ওরা শুধু মানুষকে সেবা করার জন্যই ডাক্তার হয়। সে কারণে অনেক স্ক্রিনিং করে একজনকে ডাক্তার হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সব রোগীই তার কাছে স্পেশাল, কোনো জাত-পাতের ধার ধারে না। শুধু মানবিক গুণের অধিকারীরাই ডাক্তার হতে পারে।’
এজাজ চলে গেল। কারণ তার কাজ আছে বাইরে। ওর শেষ কথাটি কানে বাজছিল, একা বাসায় বসে। ‘মানবিক গুণ’। এই মানবিক গুণ শব্দটা করোনাকালে বেশ উচ্চারিত হচ্ছে। সব মহামারিতেই মানবিক কিছু মানুষের মহত্ত্বে নতুন জীবন পায় সবাই। এ দেশের ডাক্তাররাও তারই অংশ। রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি থেকে শুরু করে কানাডার সব মানুষ স্বাস্থ্যকর্মীদের শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় দেবতার মতো সম্মান দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘কানাডায় আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান, আমাদের অসাধারণ স্বাস্থ্যকর্মীরা আছেন। আমি তাঁদের ধন্যবাদ দিতে চাই, তাঁরা আমাদের সুস্থ রাখার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।’


আমিও মনে মনে বলি, ‘ধন্যবাদ হে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষেরা, ফ্রন্ট লাইন কর্মীরা, যারা এখনো পৃথিবীকে টিকিয়ে রেখেছ। কিছু মানুষের মহত্ত্ব, প্রচেষ্টা, আর নিরলস কর্তব্যপরায়ণতার জন্যই তো এখনো আমরা প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে পারছি, বেঁচে আছি। তোমাদের শ্রদ্ধা।’

আরও পড়ুন: