ইতালিতে কাল ঈদ, খোলা মাঠে জামাত হবে

করোনা-পরবর্তী সময়ে ইতালিতে খোলা মাঠে ঈদের নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ছবি। রাষ্ট্রদূতসহ কমিউনিটির নেতারা ঈদের নামাজ পড়ছেন। ছবি: সংগৃহীত
করোনা-পরবর্তী সময়ে ইতালিতে খোলা মাঠে ঈদের নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ছবি। রাষ্ট্রদূতসহ কমিউনিটির নেতারা ঈদের নামাজ পড়ছেন। ছবি: সংগৃহীত

১৬ মের মধ্যে করোনাভাইরাসে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে আনার কথা বলেছিলেন ইতালির স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে তা শূন্যের কোঠায় না এলেও আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কমেছে। আর সে কারণেই এই লকডাউন দফায় দফায় হচ্ছে শিথিল। ১৮ মে থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবসা ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোও খোলা হয়েছে শর্ত সাপেক্ষে।

ইতালিতে তিন দশকের অধিক সময় ধরে পবিত্র ঈদের জামাত আদায় হয় বর্ণাঢ্যভাবে খোলা মাঠে ও পার্কে। করোনা মোকাবিলায় এবারের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে কি না, আশঙ্কা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন ঈদের নামাজ জামাতে পড়ার অনুমতি দিয়েছে শর্ত সাপেক্ষে।

আগামীকাল রোববার ইতালিতে ঈদের নামাজ পড়বেন মুসলিমরা।

ঘর থেকে অজু করে জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক ও গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক। কোলাকুলি ও করমর্দন (হ্যান্ডশেক) না করার নির্দেশনা রয়েছে। নামাজ আদায় হবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এবং নামাজ শেষে কোথাও গণসমাগম করা যাবে না। আর অন্য বছরের তুলনায় এবার প্রশাসনের নজরদারি থাকবে বেশি।

পরিবার নিয়ে প্রবাসে ঈদ। ছবি: সংগৃহীত
পরিবার নিয়ে প্রবাসে ঈদ। ছবি: সংগৃহীত

রোমের জাতীয় ঈদ উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ঈদের দিন এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাজধানী রোমসহ ইতালির বিভিন্ন শহরে কমপক্ষে ৫০টি স্থানে খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। করোনাভাইরাসের কারণে এবার সে সংখ্যা খুবই কম।

এদিকে রোমের ফ্যাশন হাউসগুলো একেবারেই ক্রেতাশূন্য। অনেকে ঘরেই থাকছেন এখনো নিরাপদের জন্য। আবার কিছুসংখ্যক মা-বাবা আসছেন সন্তানদের আবদার পূরণের লক্ষ্যে।

এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় বেশ সচেতন ও সতর্ক ছিলেন। এরর ফলে ইতালিতে বাংলাদেশিদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম।