সুইজারল্যান্ডে কোটি টাকার সোনার মালিকানা কেউ দাবি করছে না

ট্রেনে ফেলে যাওয়া সোনার বার। ছবি: সংগৃহীত
ট্রেনে ফেলে যাওয়া সোনার বার। ছবি: সংগৃহীত

ভাবুন আপনি ট্রেনে, বাসে বা লঞ্চে ভ্রমণ করছেন, আচমকা দেখলেন পাশে বা সামনের আসনে কেউ একজন ভুলে একটা প্যাকেট রেখে গেছেন। প্যাকেট খুলে তো আপনার চোখ ছানাবড়া। সোনার বিস্কুট কেউ ভুলে রেখে গেছেন। এগুলোর বাজারমূল্য লাখো ডলার, টাকায় কয়েক কোটির ঘরে। তবে কেউ এর মালিকানা দাবি করছেন না। সত্যিই সত্যিই তাই ঘটেছে সুইজারল্যান্ডে।

গত বছরের অক্টোবরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুইস শহর সেন্ট গ্যালেন শহর থেকে লুসার্নে যাওয়া একটি সুইস ফেডারেল রেলওয়ে (এসবিবি) ট্রেনের ভেতর সোনার বারসংবলিত পার্সেলটি পাওয়া যায়। এগুলোর বাজারদর ১ লাখ ৯১ হাজার ডলার বা ১ লাখ ৮২ হাজার সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি টাকায় ১৬ কোটি টাকার ওপরে সোনার দাম। পাওয়ার পর পুলিশকে দেওয়া হয়েছে সোনার বারগুলো। এখন পর্যন্ত এই সোনার বারগুলোর কেউ মালিকানা দাবি করেননি। সুইস পুলিশ ভুলে যাওয়া ব্যক্তির সন্ধান করছে।

স্থানীয় সরকার লুসার্ন ক্যান্টন গেজেটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেছে, ব্যাপক তদন্তের পরও উচ্চমূল্যের প্যাকেটের মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মালিকানা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস সোনার বারগুলো বাজেয়াপ্ত করে।

বাংলাদেশি টাকায় ১৬ কোটি টাকার এসব সোনার বারের মালিককে খুঁজছে সুইজারল্যান্ডের পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশি টাকায় ১৬ কোটি টাকার এসব সোনার বারের মালিককে খুঁজছে সুইজারল্যান্ডের পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

এখন কর্তৃপক্ষ রহস্যময় মালিককে খুঁজতে তাদের অনুসন্ধানকে জনসমক্ষে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুইস কর্তৃপক্ষ বলেছে, সোনার মালিকানা দাবি করার জন্য মালিকের কাছে এখনো পাঁচ বছর সময় রয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের ট্রেনগুলোতে যাত্রীসাধারণ গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ বিভিন্ন ধরনের দামি দ্রব্যসামগ্রী ভুলে রেখে যান। ২০১২ সালে পাওয়া ১৭২৭-স্ট্রাডাভারিয়াস বেহালা। এখন পর্যন্ত এটি সবচেয়ে মূল্যবান, যার বাজারমূল্য ২.৬ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ বা ২.৪ মিলিয়ন ইউরো।