স্পেনে লকডাউন উঠল, নতুন স্বাস্থ্যবিধিতে জীবন শুরু

দীর্ঘ ৯৯ দিন পর জরুরি অবস্থার অবসান হয়েছে স্পেনে। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ৯৯ দিন পর জরুরি অবস্থার অবসান হয়েছে স্পেনে। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৯৯ দিন পর জরুরি অবস্থার অবসান হয়েছে স্পেনে। সোমবার (২২ জুন) থেকে স্পেনের লকডাউন তুলে নতুন কিছু স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে জীবন যাত্রা শুরু হলো। স্বাভাবিক চলাচল ও যাতায়াতের যে নিষেধাজ্ঞা তা পুরোপুরি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, সেই সাথে গতকাল রোববার (২১ জুন) থেকে শুরু হয়েছে গ্রীম্মকাল।

দেড় মিটারের কাছাকাছি মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক, কেউ অমান্য করলে ১০০ ইউরো জরিমানার বিধান থাকছে। সেনজেন দেশগুলোর বিমান চলাচল শুরু হয়েছে ১৫ জুন থেকে। কিন্তু স্পেনের সাথে ইউরোপীয় দেশগুলোর বিমান চলাচল শুরু হয় ২১ জুন থেকে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র পর্তুগালের সাথে পয়লা জুলাইয়ের আগে সীমান্ত খোলা হবে না। লন্ডন থেকে কেউ স্পেনের প্রবেশ করলে দুই সপ্তাহের সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে হবে বলা হয়েছে।

মুক্তভাবে দেশের যেকোনো প্রান্তে যেতে পারবেন স্পেনীয়রা। এ সুযোগে অনেকে তাদের বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। গত ১৪ মার্চ থেকে স্প্যানিশদের নিজ বাড়ি থেকে অন্যদের বাড়িতে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল।

গতকাল রোববার প্রায় ১০০ টি ফ্লাইট আসে মাদ্রিদের আদোলফো সুয়ারেজ-বারাজাস বিমানবন্দর। যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। বহুমাস পর প্রিয়জনদের দেখতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বা পাড়ি দিতে বিমানবন্দরে গেছেন অনেকে।

স্পেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রাসেল হাওলাদার বলেন, অনেক۔ পরিবর্তন এসেছে আমাদের লকডাউন এবং করোনা পরবর্তী সময়ে। অনেক সতর্কভাবে আমাদের পথ চলতে হবে।

স্পেনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্র মোহাম্মেদ মুজিবুর রহমান জানান, অফিস, আদালত, দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেকটি কাজকর্মে আগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে যেতে হবে। উপরে পুরোপুরি অনলাইন ডিজিটাল জীবন।

এদিকে বিমানবন্দরে অবতরণকারী প্রত্যেক যাত্রীর তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। তাদের কোথা থেকে এসেছে ও কোথায় থাকবে, এসব তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে, যাতে প্রয়োজনে তাদের খুঁজে বের করা যায়। বিমানবন্দরের দেয়ালে দেয়ালে ছেপে দেওয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা।

গত শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেস জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার ঘোষণায় স্প্যানিশদের একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ থেকে সতর্ক থাকতে বলেন।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির উপাত্ত অনুসারে, স্পেনে এখন অবধি করোনায় নিশ্চিত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। মারা গেছে ২৮ হাজারের বেশি মানুষ।

তিন মাস পর ইউরোপীয়দের জন্য সীমান্ত খুলে দিল স্পেন
করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব কমায় দীর্ঘ তিন মাস পর ইউরোপীয়দের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে স্পেন। আজ সোমবার (২২ জুন) থেকে ইউরোপের সব দেশ প্রবেশাধিকার পেলেও আপাতত পর্তুগালকে এই সুযোগ দেয়া হয়নি। তবে ব্রিটিশ পর্যটকদের ভ্রমণ সহজ করেছে স্পেনের সরকার। সোমবার থেকে কোয়ারেন্টিনে না থেকেই ব্রিটিশরা স্পেনে ভ্রমণ করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।