সুইজারল্যান্ড মিলিশিয়া বাহিনী করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবিলায় প্রস্তুত

সুইস সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত
সুইস সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

সুইস সেনাবাহিনী করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাপ মোকাবিলায় প্রস্তুত এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করেছে। সেনাবাহিনী কেবল সেই পরিষেবাই সরবরাহ করবে, যা সমাজের অন্য অঙ্গসংগঠনগুলো সরবরাহ করতে অপরাগ এবং ফেডারেল সরকারের আহ্বানে মিলিশিয়া বাহিনী এই কাজে সম্পৃক্ত হবে বলে সুইস সরকার ঘোষণা দিয়েছে। 

নির্দিষ্ট ইউনিট বা পুরো ব্যাটালিয়ন তিন বা চার দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সুইস সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের মতে, দ্বিতীয় ধাপের জন্য বা জরুরি পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর পর্যাপ্ত কর্মী রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক ধকল সামাল দেওয়ার জন্য মার্চ মাসে সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছিল। সুইজারল্যান্ডে অঘোষিত ‘জরুরি পরিস্থিতি’ এবং প্রায় তিন মাস কোয়ারেন্টিনের পড়ে, করোনভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পায়, ফলে সুইস কর্তৃপক্ষ ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞাগুলো হ্রাস করে।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ায় সরকার দেশব্যাপী গণপরিবহনে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা দিয়েছে। কিছু কিছু ক্যান্টন দোকানপাটেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। উত্তর-পশ্চিমের চারটি ক্যান্টন (বাসেল, সলোথার্ন এবং আড়গৌর দুটি ক্যান্টন) প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং দক্ষিণে ইতালীর সীমান্তবর্তী শহর তিচিনোর উদাহরণ অনুসরণ করছে।

পোষা কুকুরকে মাস্ক পরিয়েছেন তার মালিক। ছবি লেখক
পোষা কুকুরকে মাস্ক পরিয়েছেন তার মালিক। ছবি লেখক

তারা এখন রেস্তোরাঁ, বার, ক্লাব এবং ইভেন্টগুলোতে সর্বাধিক সংখ্যক অতিথিকে আগের ৩০০–এর পরিবর্তে ১০০–এ সীমিত করছে। কেবল সেই স্থাপনা ও ইভেন্টগুলো, যেখানে মানুষের মধ্যে ন্যূনতম ১ দশমিক ৫ মিটার দূরত্বের গ্যারান্টি দেয় এবং তাদের গ্রাহকদের মুখোশ পরা প্রয়োজন, সেখানে নতুন আইন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।