সিডনি ভ্রমণে গুনতে হবে বাড়তি ২ লাখ টাকা

সিডনির ডার্লি হারবার। ছবি: প্রথম আলো
সিডনির ডার্লি হারবার। ছবি: প্রথম আলো

এখন থেকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ভ্রমণ করলে বাড়তি গুনতে হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ টাকা। করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে আগে বিদেশ থেকে কেউ ভ্রমণ করলে বিনা মূল্যের হোটেল কোয়ারেন্টিন ছিল বাধ্যতামূলক। আজ থেকে তা অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার তুলে নিয়েছে। ফলে রাজ্যটিতে এখন থেকে বিদেশফেরত সবাইকে হোটেল কোয়ারেন্টিন ফি বাবদ সরকারকে দিতে হবে মাথাপিছু ৩ হাজার ডলার।

বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে আগতদের রাজ্যটিতে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। আর এ জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ককে গুনতে হবে ৩ হাজার ডলার আর সঙ্গে সঙ্গী থাকলে দিতে হবে আরও ১ হাজার এবং যদি শিশু থাকে আরও দিতে হবে মাথাপিছু ৫০০ ডলার করে। অর্থাৎ, স্বামী-স্ত্রী ও একটি শিশুর পরিবারের কোয়ারেন্টিন ফি বাবদ খরচা হবে ৪ হাজার ৫০০ ডলার। রাজ্যের নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিন অবস্থান এবং খাওয়ার খরচ বাবদ এ অর্থ প্রদান করতে হবে। আজ ১৩ জুলাই নতুন এ ফি প্রদান চালু করা হচ্ছে। ১২ জুলাই মধ্যরাতের আগেই যাঁরা বিমানের টিকিট বুকিং করেছেন, তাঁদের জন্য নতুন নিয়মটি প্রযোজ্য নয়। এর জন্য কোনো আবেদনপত্র জমা বা পূরণ করতে হবে না।

গতকাল রোববার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান নতুন এই নিয়মের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার বিদেশফেরত ব্যক্তিকে আমরা বিনা মূল্যে হোটেল কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করেছি। আর এতে রাজ্যবাসীদের দেওয়া কর থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি ডলার খরচ হয়েছে। বিদেশে অবস্থানকারী অস্ট্রেলিয়ানদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে দেশে ফেরার। এখন আমাদের মনে হয় নতুন করে যাঁরা আসবেন, তাঁদের কিছুটা খরচ বহন করা দরকার।’ এদিকে রাজ্যের হোটেল কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী স্টুয়ার্ট আইরেস জানান, রাজ্যটিতে করোনাভাইরাস সংক্রামণ কমিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি ছিল হোটেল কোয়ারেন্টিন প্রক্রিয়া। নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগ আগে থেকেই হোটেলে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন বলেও জানান আইরেস।