করোনাজয়ী জোতাশা হাসপাতালে ৯৪ দিনের মধ্য ৩৫ দিন ছিলেন ভেন্টিলেটরে

পাঁচ সপ্তাহ ভেন্টিলেটরে, তিন মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে থেকে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ জয় করে বাড়ি ফিরলেন মিশিগান রাজ্যের ইস্টপয়েন্ট সিটির জোতাশা মোসলে।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে গলাব্যথায় জোতাশা মোসলে বুঝতে পারেননি যে এটা করোনার সংক্রমণ। ৩৭ বছর বয়সী এই নারী সম্প্রতি মিশিগানের ট্রয় বেউমন্ট হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

বেউমন্ট হাসপাতালের মোসলের চিকিৎসক বিক্রম নারুলা বলেন, এটি একটি দীর্ঘ পুনরুদ্ধারপ্রক্রিয়া, অসুস্থ হওয়া সহজ, তবে তা থেকে সুস্থ হওয়া খুবই কঠিন। করোনাভাইরাস হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গগুলোর ক্ষতি করতে পারে, শারীরিক প্রভাব ছাড়াও এ রোগটি জ্ঞানীয় অক্ষমতা বা মানসিক সমস্যা, পোস্ট-ট্রম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের মতো ক্ষতিও করতে পারে।

হাসপাতালে ভর্তির দুই সপ্তাহ আগ থেকেই মোসলের করোনার উপসর্গগুলো দেখা দেয়। ১৭ মার্চ তিনি গ্রস পয়েন্ট বেউমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। কিছুদিন পর তাঁকে ট্রয় সিটির বেউমন্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যখন এটা স্পষ্ট হয় যে তাঁর এখন ভেন্টিলেটর প্রয়োজন।

মেয়ের দীর্ঘদিন হাসাপাতালে থাকার ব্যাপারে ৬৭ বছর বয়সী জোতাশার মা ডায়ান মোশলে বলেন, ‘আমি প্রতিদিনই তার জন্য কাঁদতাম।’ তাঁর বোন ডিলিন্ডা বলেন, তাঁর হিমোগ্লোবিন কম থাকায় রক্ত পরিবর্তন করা হতো, তাঁর কিডনি কাজ না করায় জরুরি ডায়লাসিস করতে হয়েছিল, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তাঁর শরীরে। তাঁর রক্তে সংক্রমণ হয়েছিল, তাঁর ফুসফুসে করোনার সংক্রমণ হয়েছিল, তিনি পাঁচবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। ভেন্টিলেটরে পাঁচ সপ্তাহ অচেতন ছিলেন জোতাশা।

মোশলে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে অল্প সময় কাটিয়েছিলেন। ট্রাওস্টোমি থেকে তার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছিল। মোশলে বলেন, ‘আমার আক্রমণাত্মক থেরাপি ছিল, আমি প্রতিদিন রূপান্তরিত হয়েছি, আরও শক্তিশালী, আরও দৃঢ় হয়ে উঠি। একদিন আমি দাঁড়াই, পরদিন আমি হাঁটার চেষ্টা করি, এর পরদিন ওয়াকারে আমি হাঁটছিলাম।

মানসিক আঘাতের পর স্ট্রেস ডিসঅর্ডারসহ মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার চিকিৎসা করা হচ্ছে তাঁর। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তাঁর পরিবার, সমর্থকদের সহায়তায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং তাঁর চিকিৎসকও তা–ই বিশ্বাস করেন।