সিডনিতে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার সমাবেশে পুলিশের বাধা, আটক ৬

সমাবেশ প্রতিরোধ করতে সিডনির পুলিশ ছিল সদা প্রস্তুত। ছবি রয়টার্স
সমাবেশ প্রতিরোধ করতে সিডনির পুলিশ ছিল সদা প্রস্তুত। ছবি রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির প্রাণকেন্দ্রে আয়োজিত ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ সমাবেশ শুরুর আগেই বানচাল করে দেয় স্থানীয় পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সিডনির টাউন হলে দিনের মধ্যভাগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে দুপুরের আগেই পুলিশ সমাবেশ বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে সমাবেশের আয়োজকসহ ৬ জন অংশগ্রহণকারীকে জনস্বাস্থ্য আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে আটক করে।

এদের মধ্যে ৫ জনকে ১ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার করে জরিমানাও করা হয়। এ ছাড়া আপত্তিজনক ভাষা ব্যবহারের দায়ে একজন ২৫ বছর বয়সী নারীকেও আটক করে পুলিশ। জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় আজ এই সমাবেশ না করার পক্ষে আদালতের আদেশ জারি ছিল। তারপরও ফেসবুকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ লোক ইঙ্গিত দিয়েছিল তারা যোগ দেবে তবে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন যোগ দিয়েছিল এই সমাবেশে।

করোনাভাইরাসের কারণে দেশটিতে জনস্বাস্থ্য বিধি-নিষেধ থাকায় আদালত সিডনিতে এবারের এই বিক্ষোভ মিছিল নিষিদ্ধ করে। এই বিক্ষোভ সমাবেশটি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে হলেও ২০১৫ সালে সিডনির লং বে জেলখানায় পুলিশি হেফাজতে নিহত আদিবাসী মানুষ ডেভিড ডুঙ্গয়ের বিচারের দাবিতে হচ্ছে। এবার মূলত তাঁর পরিবারের ডাকে এই আন্দোলন হওয়ার কথা ছিল। নিহত ডুঙ্গয়ের ভাইয়ের ছেলে পল সিলভা তাঁর চাচার মৃত্যুর পুনঃতদন্ত দাবি করেন।

গত মাসের প্রথম দিকে সিডনিসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ নামে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বড় আকারে সমাবেশ আয়োজিত হয়েছিল। তখন সিডনিতে একদম শেষ মুহূর্তে আদালত অনুমতি দিলে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

এবারের সমাবেশের সহ-আয়োজক প্যাডি গিবসনকে পুলিশ সবার প্রথমে আটক করে। প্যাডি দাবি করেন, পুলিশ যখন তাঁদের বাধা প্রদান করে তখন তারা নিজেদের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করছিল। আটক হওয়ার সময় প্যাডি বলেন, ‘আমরা আজকে নিরাপদ থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তবে আমরা সুবিচারের জন্য আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাব’। তবে পুলিশ বলছে, ‘আমরা প্রতিবাদ বিরোধী নই, শুধু মহামারির মধ্যে এটা না করি।’