সিঙ্গাপুরে পড়াশোনার সহজ সুযোগ

বাঁ থেকে শফিক, রফিক, সাইদুর ও তাজুল। তারা সবাই অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউক্যাসলের সিঙ্গাপুর শাখায় ভর্তির পর ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করে। পরে তিনজন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় ভর্তি হয়। একজন সেখান থেকে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছে। দুজন অধ্যয়নরত। আরেকজন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হাল-এ অধ্যয়নরত।
বাঁ থেকে শফিক, রফিক, সাইদুর ও তাজুল। তারা সবাই অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউক্যাসলের সিঙ্গাপুর শাখায় ভর্তির পর ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করে। পরে তিনজন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় ভর্তি হয়। একজন সেখান থেকে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছে। দুজন অধ্যয়নরত। আরেকজন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হাল-এ অধ্যয়নরত।

পরিশ্রমী ও বীরের জাতি হিসেবে বাঙালি জাতির সুনাম বিশ্বব্যাপী। মেধা, পরিশ্রম আর দক্ষতা দিয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে রাখছে অনন্য অবদান। সেই সঙ্গে যখন যোগ হচ্ছে উচ্চশিক্ষা তখন সে অবদান গণ্ডি ছাপিয়ে দেশকে পরিচিত করছে বিশ্বব্যাপী। সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ একটি দেশ। বিশ্বে প্রচলিত প্রায় সব বিষয়েই পড়ার সুযোগ রয়েছে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এশিয়ার এই দেশটিতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পড়াশোনার অনেক সুযোগ।

সিঙ্গাপুরে ব্যাচেলর ডিগ্রি, মাস্টার ডিগ্রি, ডক্টরেট ডিগ্রি ছাড়াও বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য আপনি আবেদন করতে পারেন। ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছর ফুলটাইম পড়াশোনা করতে হয়। মাস্টার ডিগ্রির জন্য সাধারণত এক থেকে তিন বছর ও ডক্টরাল ডিগ্রির জন্য সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছরের ফুল টাইম স্টাডির প্রয়োজন হয়। সিঙ্গাপুরে অনেক খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে, তবে সীমিত আকারে। খণ্ডকালীন কাজের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হতে পারে।
সিঙ্গাপুর পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরী আর তাই বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করতে না এলে খরচ জোগাতে হিমশিম খাওয়াই স্বাভাবিক। তবে আজ অন্য একটি উপায় বাতলে দেবার চেষ্টা করব।
সিঙ্গাপুরে বিশ্বের খ্যাতনামা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে সান্ধ্যকালীন ক্লাস। এ সকল ক্লাসের জন্য উপস্থিতির ক্ষেত্রেও দেওয়া হয় শিথিলতা। ফি প্রদানের ক্ষেত্রেও থাকে কিস্তিতে প্রদানের সুব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ব্যাংকের চুক্তির জন্য ক্ষেত্রভেদে নামমাত্র সুদে থাকে ঋণের ব্যবস্থাও। তবে এ জন্য যে কাজটি জরুরি তা হলো এ দেশে অবস্থান। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় দিচ্ছে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ। তার মানে সিঙ্গাপুরের পড়াশোনা শুরু করে শেষ করা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে। সিঙ্গাপুরের কর্মক্ষেত্রের ভাষা ইংরেজি। তাই বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে আলাদা করে আইইএলটিএস বা টোফেল টেস্টের দরকার পড়ছে না।
এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি অনেকেই তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে বাড়িয়ে নিচ্ছে ক্রমাগত। পরীক্ষার ফলাফলে ছাপিয়ে যাচ্ছে অন্য দেশীয়দের (সিঙ্গাপুরিয়ানসহ)। স্কুলগুলো স্থানীয় কিছু এজেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করে। স্কুল ভর্তি হতে ও ভর্তি পরবর্তী সহায়তায় এগিয়ে আসে। অবশ্য এ জন্য লাগবে সংকল্পবোধ ও ছাড় দেবার মানসিকতা। ইচ্ছা আর চেষ্টায় অনেক কিছুই সম্ভব। সেই সঙ্গে পড়াশোনার এ সুযোগ অনেকর জন্যই উন্মোচন করছে ক্যারিয়ারের নয়া দিগন্ত। সিঙ্গাপুরের বেড়ে উঠছে আর একটি ভিন্ন বাঙালি জাতি। হয়তো আর একটু সুযোগের অপেক্ষা মাত্র। বিশ্ব দেখবে আর একটি ভিন্ন ভোর, যার আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত হবে চারদিক।