
আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ে অডিটোরিয়াম খুলে দেওয়া হবে। আর অডিটোরিয়ামে প্রবেশের পর কেবল শিল্পীর দিকেই মনোযোগ থাকতে হবে। এই সব শর্ত মেনেই দর্শক-শ্রোতারা হাজির হয়েছিলেন টরন্টোর এস ওয়াল্টার স্টুয়ার্ট পাবলিক লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে। টরন্টোর দর্শক-শ্রোতাদের ইতিমধ্যে জানা হয়ে গেছে, বাংলা টেলিভিশনের অনুষ্ঠান মানেই ঘড়ির কাঁটাকে অনুসরণ করা। সময়ের হেরফের হলে আর অনুষ্ঠানে ঢোকার সুযোগ নেই। এবারের আয়োজনেও তাই হয়েছে।
বাংলা টেলিভিশন কানাডার নিয়মিত সংগীতায়োজনে সুরের ধারার চতুর্থ পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি টরন্টোর এস ওয়াল্টার স্টুয়ার্ট পাবলিক লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে। সুরের ধারা-চার ছিল মূলত রাগ সংগীতের আয়োজন। বাংলা টিভির ফারহানা আজিম শিউলীর সঞ্চালনায় এ আসরে খেয়াল পরিবেশন করেন পণ্ডিত প্রসেনজিৎ দেওঘরীয়া ও রাগাশ্রয়ী গান করেন মৌসুমি রায়।

পণ্ডিত প্রসেনজিৎ দেওঘরীয়া ও মৌসুমি রায় দুজনেই গুণী শিল্পী। সংগীতাঙ্গনে তাদের আলাদা একটা অবস্থান রয়েছে। ফলে এই দুই শিল্পীর গান শুনতে মূলত প্রাজ্ঞ দর্শকদেরই সমাগম ঘটেছিল সুরের ধারার-চারের আয়োজনে। আর প্রাজ্ঞ শ্রোতাদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে অর্থবহও করে তুলেছিল। শিল্পীদের সঙ্গে তবলা সংগত করেন আর্য মুখার্জি ও দোলন সিনহা। হারমোনিয়ামে ছিলেন সুব্রত পুরোহিত। অনুষ্ঠানের একাংশে মন্দিরা সংগত করেন অলোক মুখার্জি। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রীদের রয়েছে সুদীর্ঘ বছরের তালিম এবং পারফরম্যান্সের পেশাদারি অভিজ্ঞতা।

অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলা টেলিভিশনের কর্ণধার সাজ্জাদ আলী জানান, সুরের ধারা সিরিজের প্ল্যাটফর্মে সাংস্কৃতিক বিশুদ্ধতার কথা আস্থার সঙ্গে উচ্চারিত হয়। এ ধারাকে ঋদ্ধ করতেই এবারের সুরের ধারা-চার সাজানো হয়েছিল বিশুদ্ধ রাগ ও রাগাশ্রয়ী সংগীত দিয়ে। রাগ সংগীতের ভুবনে অবগাহনের লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন। বাংলা টেলিভিশন কানাডা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, প্রবাসে সুস্থ ও গুনসম্পন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী বাংলা টেলিভিশন ভালো শ্রোতার জন্য ভালো গান স্লোগান নিয়ে সুরের ধারা সিরিজে মঞ্চ আয়োজন করে যাচ্ছে। বাংলা টেলিভিশনের মঞ্চ আয়োজনে বাছাই করা ভালো শ্রোতারাই আমন্ত্রিত হন। আর গান গাইতেও আসেন বাছাই করা গুণী শিল্পীরাই। ফলে বাংলা টেলিভিশনের সুরের ধারা প্রবাসে গুণগত উৎকর্ষতার একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে।