ভূত-লেখক

 ভূত-লেখক মানে কিন্তু ভূত সমাজের লেখক নয়। এমনকি ভৌতিক উপন্যাস বা গল্পের লেখকও নয়। ভূত-লেখকের ইংরেজি হলো গোস্ট রাইটার। একজন লেখক যখন কোনো কিছু লেখার পর সেটা ছাপা হয় অন্য কারও নামে, তখন তাকে বলা হয় গোস্ট রাইটার। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজ ‘ন্যান্সি ড্রিউ’। সিরিজটির প্রতিটি বইয়ের লেখকের জায়গায় লেখা থাকে ক্যারোলিন কিনের নাম। কিন্তু আসলে এ নামে কোনো লেখকই নেই! ১৯৩০ সাল থেকে সিরিজটি লিখছেন একাধিক লেখক, যাদের নাম কখনই প্রকাশ করা হয়নি। ধারণা করা হয় সিরিজটির গোড়াপত্তন করেছিলেন মার্কিন প্রকাশক-শিশুসাহিত্যিক এডওয়ার্ড স্ট্রেটমেয়ার। ১৯২৬ সালে ‘হার্ডি বয়েজ’ নামে আরেকটি সিরিজ শুরু করেছিলেন স্ট্রেটমেয়ার। পরে মেয়েদের জন্যও একটা চরিত্র দাঁড় করানোর কথা মাথায় আসে তাঁর। সেই থেকে ন্যান্সি ড্রিউয়ের শুরু। বাংলাদেশের ‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজের অন্যতম লেখক শামসুদ্দিন নওয়াব। কিন্তু আসলেই কি শামসুদ্দিন নওয়াব বলে কেউ আছেন? এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে চাইলে কিশোর-মুসা-রবিনের সাহায্য নিতে পারো!