ভাঙা বাড়িতে অ্যাডভেঞ্চার

বাড়িটা একতলা। গাছে ঘেরা।

‘এত ভেতরে’ বাড়িটার দিকে তাকিয়ে রফিক বলে।

‘তো কী বললাম? একেবারে জঙ্গলের ভেতরে হবে বলছিলাম না?’ হুমায়ুন বলল। সে হাসছে খানিকটা। রফিকের অবাক হওয়া দেখে বোধ হয়।

আজাদ একটু সামনে এগিয়ে পুরো বাড়িটাকে ভালো করে দেখার চেষ্টা করছিল। সে বলে ওঠে, ‘ভালোই ভাঙাচোরা দেখছি।’

‘হুম।’ আজাদের কথার রেশ ধরে হুমায়ুন বলে, ‘কেউ আসে না, কিছু না। তা ভাঙাচোরা হবে না তো কি হবে?’

গাছে ঘেরা বাড়িটা আসলেই ভাঙাচোরা। দরজা নেই, সামনের দেয়ালের অর্ধেকটাই ধসে পড়া, ছাদে আবার জায়গায় জায়গায় ভাঙা। শেওলা আর লতাপাতায় ছেয়ে গেছে দেয়াল; যেটুকু আছে সেটুকু আরকি।

‘তো, কেমন লাগে?’ হুমায়ুন জিজ্ঞেস করে। ‘ভয় লাগে একটুও?’

‘ভয় লাগে না। তবে ভালোই লাগে।’ নিচু স্বরে উত্তর দিল রফিক।

‘এহ্।’ মুখ বাঁকায় হুমায়ুন। ‘পারলে রাতের বেলা আসিস। ভয়ে বাথরুমে দৌড়াতে হবে।’

‘তুই কোনো দিন আসছস?’ আজাদ প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।

হুমায়ুন অন্যদিকে তাকিয়ে বলে, ‘নাহ্। আসিনি।’

তিনজনে বাড়িটার আশপাশে ঘুরছিল, দেখছিল। দেখার তেমন বিশেষ কিছু নেই অবশ্য। বাড়িটা শুধু ভাঙা ছিল না, ফাঁকাও ছিল। ধ্বংসাবশেষ বাদে তেমন কিছু বাকি নেই।

‘গল্পটা আরেকবার বল তো হুমায়ুন।’ আজাদ বলল।

‘আবার?’

‘হ্যাঁ’।

রফিক চুপচাপ যেখানে সদর দরজা থাকার কথা সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভেতরটা দেখার চেষ্টা করছিল। সে কিছু বলল না। হুমায়ুন তার গল্প আবার বলতে পেরে বেশ খুশি। সে শুরু করে, ‘আমি যত দূর শুনেছি আম্মার কাছ থেকে, এখানে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা থাকত।’

রফিক কী মনে করে হুমায়ুনের কথার মাঝখানে নিচুস্বরে বলল, ‘তাদের একটা মেয়ে ছিল?’

‘আরে আমাকে গল্প বলতে বলছে। তুই বলা শুরু করছস কেন?’ হুমায়ুন খানিকটা বিরক্ত হয়ে বলে।

আজাদ বলে ওঠে, ‘পেছনের ওখানে একটা নদী ছিল, তারপর সেই মেয়েটা সেখানে ডুবে মারা যায়।’

হুমায়ুন এবার মনে হয় খানিকটা রেগে যায়। ‘আমাকে গল্প বলতে বললি, তা বলতে দিবি তো নাকি?’

‘নদীটা এখন শুকিয়ে গিয়েছে।’ রফিকের নিচু কণ্ঠ ভেসে আসে বাড়িটার ভেতর থেকে।

‘এসব ঠিক না।’ হুমায়ুন বুকের ওপর হাতের ভেতর হাত দিয়ে বলে। রফিক আর আজাদ তার দিকে না তাকিয়েও বুঝতে পারে যে সে বেশ বিরক্ত হচ্ছে।

‘আরে গল্পের যেটুকু মনে আছে সেটুকু বলে দিলাম। তুই বাকিটুকু বল।’ আজাদ বলে।

হুমায়ুন হালকা গাঢ়, রাগত স্বরে বলে, ‘তোরা তো সবই বলে দিলি। আমি আর কী বলব?’

‘আরে এরপর আরও কত কিছু আছে না? বল তো।’

হুমায়ুন কয়েক মুহূর্ত চোখ রাঙানোর পরে আবার বলা শুরু করে, ‘তো, হ্যাঁ। মেয়েটা তো মরে যায়। তারপর থেকে গ্রামের সবাই এই বাড়িটাকে ভয় পাওয়া শুরু করে। এখানে নাকি ভূত দেখা যেত। একজন নাকি ভয় পেয়ে মরতে বসেছিল। একসময়ে—’

‘ও হ্যাঁ, মনে পড়ছে।’ হুমায়ুনের কথার মাঝখান দিয়ে কেটে রফিকের নিচু কণ্ঠ ভেসে আসে। ‘তারপর তোমার পূর্ব পুরুষেরা এখান থেকে সরে ওই দিকে গিয়ে বাড়ি বানিয়ে ওখানে থাকা শুরু করেছিল।’

হুমায়ুন তো রেগেমেগে রফিককে পারলে মারা শুরু করে। আজাদ তাকে কোনোমতে থামাল। রফিক আজাদের পেছন থেকে বলে, ‘আরে বাবা, খেয়াল ছিল না তাই তোর গল্পের মাঝে ভুল করে কথা বলে ফেলছি। একটু দয়ামায়া দেখিয়ে মাফ করে দে এবারের মতো।’

হুমায়ুনের রাগ বেশিক্ষণ থাকে না। দু-তিন মিনিট পর সে শান্ত হয়ে বলে, ‘তা আসবি?’

‘রাতের বেলা?’ আজাদ উল্টো জিজ্ঞেস করে।

‘হ্যাঁ।’

রফিক নিচু স্বরে বলল, ‘কাজটা ঠিক হবে না।’

‘ঠিক হবে না কে বলছে তোরে? আমরা সারা রাত থাকব নাকি? শুধু একটু ঘুরে দেখে যাব।’ হুমায়ুন বলে।

‘তো আব্বা-আম্মা—’

আজাদের কথা আটকে দেয় হুমায়ুন। ‘টের পাবে না কিছু।’

রফিক আর আজাদের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে তারা ব্যাপারটা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না। হুমায়ুন বলে, ‘তোরা এই প্রথম আসলি আমার গ্রামের বাড়ি, একটু অ্যাডভেঞ্চার টাইপের কিছু করে যা। নয়তো ঢাকায় গিয়ে স্কুলে কী গল্প করবি? কিছু একটা নিয়ে গল্প তো করা লাগে।’

আজাদ কাঁধ ঝাঁকাল। মুখে বলল, ‘আচ্ছা রাত আসুক। যদি দেখি চোখ এড়িয়ে আসা যাবে, আসব।’

হুমায়ুন একগাল হাসি দেয়। ‘চোখ এড়ানো আমার ওপর ছেড়ে দেয়।’

*

রাত আটটা বাজে তখন।

বাড়িটা একতলা। গাছে আর চাঁদের আলোয় ঘেরা।

বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওরা তিনজন।

রফিক নিচু স্বরে বলল, ‘ভাগ্যিস চাঁদের আলো আছে।’

‘এ রকম মিথ্যা বলে আসাটা ঠিক হলো না।’ আজাদ বলে।

‘কিসের মিথ্যা?’ হুমায়ুন হালকা একটু হাসে। হাসিটা দুষ্টুমির। ‘আমরা চকলেট কিনতে বের হয়েছি। বাসায় চলে যাব একটু পরে।’

‘এত সুন্দরভাবে মিথ্যা যে বলতে পারিস। আটকায় না?’

‘নাহ্।’

‘তোর নিশ্চিত শয়তানের সঙ্গে কোনো ডিল আছে।’

আজাদ আর হুমায়ুন কথা বলতে বলতে রফিক একটু সামনে এগিয়ে বাড়িটা দেখছিল।

‘কিরে রফিক, ভূতের বাড়ি দেখতে দেখতে কি মাথার ভেতর কবিতা ঢুকে গেছে এখন?’ হুমায়ুন রফিকের মনোযোগ খেয়াল করে টিপ্পনী কাটে।

‘আরে না’, রফিক ঘুরে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছিল। তার আগেই হুমায়ুন আবার বলে, ‘এখন থেকে ভালো করে দেখে নিচ্ছিস? তা জোর করে নিয়ে আসল কে? কবিতা লেখা হলে সেখানে আমাকে ধন্যবাদ দিস।’

‘কবিতা লেখে বলেই এ রকম করে পচাস না তো রফিককে।’ আজাদ বলে ওঠে।

‘কিন্তু ও এত সুযোগ করে দিলে আমি কী করব?’

‘দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার অনুচিত।’

রফিক চুপচাপ। হুমায়ুন মুহূর্ত অপেক্ষা করে, যদি সে কিছু বলে। কিন্তু না, রফিক মুখ খুলছে না। সে সবার চোখ এড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল। হুমায়ুন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘আচ্ছা আচ্ছা, সরি রফিক। মজা করছিলাম একটু। রাগ করলি নাকি?’

‘না।’

‘আচ্ছা চল তো, একটু ভেতর থেকে দেখে আসি এখন।’

কারও মুখে কোনো কথা আসে না। তারা পা বাড়ায়।

বাড়িটার কাছাকাছি হলে হাসতে হাসতে বলে, ‘তোদের কারও কি বাথরুম আসছে এখনো? ভয় লাগে?’ তার হাসিটা নিঃশব্দ।

আজাদ বলল, ‘না। অত সহজে আমার ভয় লাগে না। আর তা ছাড়া চাঁদের আলো অনেক। এত আলোয় ভয় আর থাকে?’

‘চাঁদের আলোয় কিন্তু ভূত বেশি আসে।’

‘না। চাঁদের আলোয় আসে জিন-পরি।’

‘ওই একই কথা। দেখ পেছন থেকে কখন কামড় দেয়।’

আজাদ বলে, ‘জিন-পরিরা কামড় দেয়? এই প্রথম শুনলাম।’

‘আরে কথার কথা বললাম। এটুকুও বুঝস না?’

তিনজন বাড়িটার মধ্যে ঘুরছিল। ছাদের গর্তগুলো দিয়ে চাঁদের আলো ঢুকছে। ধুলো ভরা মেঝে, দেয়াল নীলচে রুপালি আলোয় ভরে অন্য রকম একটা আবহ তৈরি হয়েছে।

আজাদের হাতঘড়িতে সময় দেখাচ্ছিল ৮: ২০। ১৫ মিনিটের বেশি হয়ে গেছে তারা এখানে। সে বলল, ‘অনেক হয়েছে। এবার যাওয়া উচিত। কিচ্ছু নেই এখানে।’

রফিক মুখ দিয়ে হালকা ‘হু’ শব্দ করে আজাদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করল। হুমায়ুনের কাছ থেকে কোনো উত্তর নেই।

বাড়িটার ছাদের এক কোণে বেশ বড় একটা গর্ত আছে। তার নিচে সে দাঁড়িয়ে আছে; গর্ত দিয়ে আসা আলোর ঠিক মাঝখানে। তার মাথা ওপরের দিকে উঁচু করা। দেখে মনে হচ্ছে সে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে।

‘হুমায়ুন?’ আজাদ ডাক দিল। ‘হুমায়ুন? কী হলো?’

হুমায়ুন একইভাবে দাঁড়িয়ে আছে। একটুও নড়ছে না। রফিক যেন কাঁপা স্বরে বলল, ‘আজাদ, সাবধান।’

আজাদ হুমায়ুনের দিকে হাঁটা শুরু করে, ‘হুমায়ুন কি শয়তানি শুরু করলি এবার?’

হুমায়ুন সেই মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়াল। আজাদ থমকে গেল।

সে দেখতে পাচ্ছিল হুমায়ুনের চোখ। চোখ দুটো প্রায় সাদা হয়ে গেছে। তার চোখ পড়ল হুমায়ুনের হাতে থাকা কাঠের টুকরোটার দিকে। এমন শক্ত করে সে টুকরোটা ধরে রেখেছে যে মনে হচ্ছে একটু পর হাত থেকে রক্ত বের হবে। তার মুখ অনুভূতিহীন। কিন্তু কয়েক মুহূর্ত পার হতেই সেই মুখ বদলে গিয়ে একটা হিংস্রভাব ফুটে ওঠে। ঠোঁট দুটো ফাঁকা হয়ে দাঁতগুলো দেখা যায়। তার গলা দিয়ে জন্তুর মতো অদ্ভুত এক রকম গর্জন বের হওয়া শুরু করে।

আজাদ কয়েক পা পিছিয়ে যায়। সে ভয় পাচ্ছিল। চাঁদের নীলচে রুপালি আলো, ধুলো, ভাঙা বাড়ি, হুমায়ুনের এই রূপ; সব মিলিয়ে তাকে ভয় জাপটে ধরছিল।

হুমায়ুন কাঠের টুকরোটা মাথার ওপর উঁচু করে একটা দৌড় দেয়। তার লক্ষ্য আজাদ। আজাদ কী করবে বুঝতে পারছিল না। তার শরীর আটকে গিয়েছিল, নড়ছিল না। হুমায়ুন একেবারে কাছে চলে এসেছে। তার হাতটা নেমে আসছিল। কাঠের টুকরোটাও নেমে আসছিল। একটু পরই টুকরোটা তার কপালে লাগবে। কপাল থেকে রক্ত বের হয়ে আসবে। সে ব্যথা পাবে। ব্যথায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে। সবকিছু অন্ধকার হয়ে যাবে। সে কি মারা যাবে?

আজাদের চোখের সামনে থেকে হুমায়ুন মুছে যায়। আজাদ সোজা সামনের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ, তারপর বুঝতে পারে যে তার কিছুই হয়নি। রফিকের ক্ষীণ গলায় চিত্কারটা কিছুক্ষণ পর তার কানে পৌঁছায়।

হুমায়ুনের দৌড় আর ভাবভঙ্গি দেখেই রফিক বুঝতে পেরেছিল যে কোনো একটা সমস্যা হতে যাচ্ছে। হুমায়ুন কাঠ উঁচু করার সঙ্গে সঙ্গে সে দৌড় দেয়। কোনো চিন্তাভাবনা তার মাথায় ছিল না। সে সোজা ধাক্কা দেয় হুমায়ুনকে।

আজাদ কেঁপে ওঠে। মাথা ঘুরিয়ে সে রফিক আর হুমায়ুনের দিকে তাকায়। রফিক উঠে দাঁড়াচ্ছে ধীরে ধীরে। কিন্তু হুমায়ুন নড়ছে না। আজাদ জিজ্ঞেস করে, থেমে থেমে, ‘হুমায়ুনের কী হলো?’

রফিক জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছিল আর ফেলছিল। তার ফাঁকে ফাঁকে সে বলে, ‘পড়ার সময় মাথায় আঘাত পেয়েছে। পুরো অজ্ঞান।’

আজাদ ধুলোর ভেতর ধপ করে বসে পড়ে। মুখ দিয়ে অজান্তেই বের হয়ে আসে, ‘কী হলো এটা?’

‘জানি না।’

*

বাড়িটা একতলা। গাছে ঘেরা।

আজাদ আর রফিক হুমায়ুনকে কোনোমতে বয়ে নিয়ে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

হুমায়ুনের পরিবারকে ঘটনাটা বুঝিয়ে বলা সহজ হয়নি তাদের জন্য।

সৌভাগ্য এই যে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে হুমায়ুনের জ্ঞান ফিরে আসে।

তবে অদ্ভুত ব্যাপার এই যে ভাঙা বাড়ির ঘটনা তার কিচ্ছু মনে নেই। তার শুধু মনে পড়ে চকলেটের কথা বলে বের হওয়া পর্যন্ত।

হুমায়ুনের দাদা ভাঙা বাড়ির পুরো গল্পটা আবার বলে তিনজনকে।

এ রকম ঘটনা এর আগেও ঘটেছিল। ভাঙা বাড়ির ওখানে গ্রামের কেউ গেলেই সে পাগলের মতো আচরণ শুরু করে। বিশেষ করে হুমায়ুনের পরিবারের কেউ।

আজাদ জিজ্ঞেস করেছিল, ‘এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই?’

হুমায়ুনের দাদা হেসে বলেছিল, ‘বাবুসাহেব, আমি সেকেলে মানুষ। অত বিজ্ঞান বুঝি না। তুমি বড় হয়ে বিজ্ঞানী হয়ে আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে যেয়ো।

‘আচ্ছা।’

তাদের তিনজনের কপালেই অনেক বকা আর কানমলা জমেছিল অবশ্য। তার বেশির ভাগ পড়ে হুমায়ুনের ভাগ্যে।

পরে হুমায়ুন বলে, ‘আরে ভূতে ভর করল আমার ওপরে, আবার বকাঝকাও সব আমার ওপরে? এ কেমন বিচার?’

রফিক হাসতে হাসতে বলে, ‘তোর ওই বেশি কথা বলার আর বড়াই করার ফল এটা। অ্যাডভেঞ্চার চেয়েছিল কে শুনি?

আজাদ বলে, ‘যা-ই হোক, অ্যাডভেঞ্চার তো ভালোই হয়েছে। এখন কবি রফিক সাহেব, এটা নিয়ে একটা গল্প লিখে ফেলুন দেখি।’

‘কিন্তু আমি তো কবি, গল্পলেখক নই।’

‘আরে এখন গল্পও লিখবি।’ হুমায়ুন বলে।

‘আচ্ছা দেখি।’ রফিক হার মেনে নেয়। তারপর সে বলে, ‘যদি কোনো দিন গল্পটা লেখাই হয়, শেষ লাইনটা কী হবে তা মোটামুটি নিশ্চিতভাবে এখনই বলে দিতে পারি।’

‘কী হবে?’ আজাদের প্রশ্ন।

‘আর কোনো দিন হুমায়ুনের কথায় আমরা কোনো অ্যাডভেঞ্চারে যাইনি।’

আবরার রহমান

একাদশ শ্রেণি, বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা।