পাখিরা উড়ছে, কাটছে সাঁতার
সুনীল আকাশজুড়ে
গান গেয়ে যাক, দাও না গাইতে
মিষ্টি মধুর সুরে।
অনন্তকাল ধরে
আকাশের প্রান্তরে;
ও শিকারি বন্দুকটা
রেখে এসো জাদুঘরে।
হরিণ-শিশুরা ইচ্ছে স্বাধীন
নেচে চলে উদ্দাম
তাদের খুশিতে বন উচ্ছল
নাচুক না অবিরাম।
অনন্তকাল ধরে
বনে আর প্রান্তরে;
ও শিকারি বন্দুকটা
রেখে এসো জাদুঘরে।
শুনছ শিকারি, যেই বন্দুকে
পাখিদের তাক করো,
তোমার ও বুকে ছুড়তে তা কেউ
উদ্যত হয় ধরো—
কী হবে তখন? ভেবেছ কখনো
ক্ষণেকের অবসরে?
ও শিকারি বন্দুকটা
রেখে এসো জাদুঘরে।
খোকন সোনারা হাঁটিহাঁটি পায়ে
খেলছে খুশির তোড়ে
দাও না খেলতে নির্ভাবনায়
সকাল-সন্ধ্যা-ভোরে।
অনন্তকাল ধরে
উঠোনের প্রান্তরে;
ও শিকারি বন্দুকটা
রেখে এসো জাদুঘরে।
গুলির ধোঁয়ায় চাই না ঢাকুক
তারাগুলো ঝিলমিল,
আকাশটা থাক আকাশের মতো
চিরভাস্বর, নীল।
অনন্তকাল ধরে
এই যে মাথার পরে;
ও শিকারি বন্দুকটা
রেখে এসো জাদুঘরে।
অলংকলণ: তুলি